দেশে চলছে ডলার–সংকট ও উচ্চ মূল্যস্ফীতি। রাজস্ব সংগ্রহ পরিস্থিতি সন্তোষজনক নয়। সরকার বিদ্যুৎ ও সারে ভর্তুকির টাকা দিতে না পেরে ৮ থেকে ১০ বছর মেয়াদি বন্ড ছেড়েছে, যাতে আপাতত নগদ টাকা দিতে না হয়। ডলার-সংকটে বিদেশ থেকে আনা গ্যাস-বিদ্যুতের দামও বকেয়া থাকছে।
আর এ অবস্থার মধ্যেই জনপ্রশাসন সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধুরী জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) জন্য ২৬১টি নতুন গাড়ি কেনার প্রস্তাব করেছেন। গাড়িগুলোর ধরন হচ্ছে স্পোর্টস ইউটিলিটি ভেহিকেল (এসইউভি), যেগুলো ২ হাজার ৪৭৭ সিসির মিতসুবিশি পাজেরো জিপ নামে পরিচিত। এগুলোর মডেল হচ্ছে মিতসুবিশি পাজেরো স্পোর্টস কিউ এক্স। ডিসিদের জন্য এমন গাড়ি কেনা হবে ৬১টি ও ইউএনওদের জন্য ২০০টি।
ডিসি ও ইউএনওদের জন্য সাদা মুক্তা (হোয়াইট পার্ল) বা মেরুন রঙের গাড়ি কেনার কথা বলে গত ১২ মে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে অনুমোদনের জন্য একটি সারসংক্ষেপ পাঠান জনপ্রশাসন সচিব। সূত্রগুলো জানায়, ১৫ মে অনুষ্ঠিত ক্রয় কমিটির বৈঠকে এ–বিষয়ক প্রস্তাব উপস্থাপিত হওয়ার কথা থাকলেও তা হয়নি। অর্থনৈতিক সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় গত নভেম্বরে প্রস্তাবটি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় স্থগিত রাখে।
খরচ করার দিক থেকে দুই বছর ধরে সরকার কৃচ্ছ্রসাধনের যে নীতি অনুসরণ করছে, আগামী অর্থবছরেও তা–ই করবে বলে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে ধারণা পাওয়া গেছে। এরই মধ্যে হঠাৎ ডিসি ও ইউএনওদের জন্য দামি গাড়ি কেনার কেন দরকার পড়ল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন আর্থিক বিশ্লেষক ও গবেষকেরা। কর্মকর্তাদের সূত্রে জানা গেছে, একেকটির দাম ১ কোটি ৪৬ কোটি টাকা। ফলে গাড়ি কেনায় মোট খরচ পড়বে ৩৮২ কোটি টাকা। গাড়িগুলো কেনা হবে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে (ডিপিএম) অর্থাৎ দরপত্র ছাড়া। জনপ্রশাসন সচিবের যুক্তি হচ্ছে, উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে কেনার প্রক্রিয়া সময়সাপেক্ষ হওয়ায় রাষ্ট্রীয় জরুরি প্রয়োজনে ও জনস্বার্থে প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজ থেকে দরপত্র ছাড়াই গাড়িগুলো কেনা দরকার।
মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, গাড়িগুলো কেনার প্রথম উদ্যোগ নেওয়া হয় গত বছরের ১২ জুন। সরকারি যানবাহন অধিদপ্তর প্রথমে চাহিদার কথা জানায় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে। পরের মাস জুলাইয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় চিঠি পাঠায় অর্থ বিভাগে। তৎকালীন অর্থসচিব ফাতিমা ইয়াসমিন ইতিবাচক মত দেওয়ার পরই বিষয়টি এগোয়। গত ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে তখন গাড়ি কেনার জন্য তোড়জোর করা হয়। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় তখন বলেছিল, সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে শেষ করার পাশাপাশি ভ্রাম্যমাণ আদালত (মোবাইল কোর্ট) পরিচালনা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাসহ মাঠ পর্যায়ে নিরবচ্ছিন্ন পরিবহনসেবা নিশ্চিত করার জন্য নতুন গাড়িগুলো দরকার। নির্বাচন হয়ে যাওয়ার কারণে পরে নতুন যুক্তি নিয়ে আসেন জনপ্রশাসনসচিব। আর সেটি হচ্ছে ‘সরকারি কাজে গতিশীলতা বজায় রাখা।’
গাড়ি কেনা নিয়ে লুকোচুরি
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধুরী গত ১২ মে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির অনুমোদনের জন্য যে সারসংক্ষেপ পাঠিয়েছেন, তাতে গাড়ি কেনার প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরা হয়েছে। ১৫ মে বুধবার ছিল ক্রয় কমিটির বৈঠক। সে বৈঠকের আলোচ্যসূচিতে গাড়ি কেনার প্রস্তাব রাখা হয়নি। তবে টেবিলে উপস্থাপনের জন্য প্রস্তাবটি প্রস্তুত করা হয়। কোভিডে আক্রান্ত অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী ভার্চ্যুয়ালি এ বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। আলোচ্য সূচিতে না রেখে অনেক সময় জরুরি প্রয়োজনে কিছু প্রস্তাব টেবিলে উপস্থাপন করা হয়। বৈঠকের পর অনুমোদিত প্রস্তাবের তথ্য সাংবাদিকদের জানিয়ে থাকেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সমন্বয় ও সংস্কার সচিব মো. মাহমুদুল হোসাইন খান।
প্রথম আলোর পক্ষ থেকে ১৫ মে অনুষ্ঠিত বৈঠকে গাড়ি কেনার প্রস্তাবটি টেবিলে উপস্থাপিত হয়েছিল কিনা জানতে চাইলে ওই দিন সচিব মো. মাহমুদুল হোসাইন খান নেতিবাচক উত্তর দেন। এর পর গত ২১ অনুষ্ঠিত ক্রয় কমিটির আরেকটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এ দিনের বৈঠকের পর জানতে চাইলেও গাড়ি কেনার প্রস্তাব অনুমোদন তো দূরের কথা, এমন কোনো প্রস্তাব উপস্থাপিত হওয়ার কথাই স্বীকার করেননি সচিব। গত বৃহস্পতিবারও মুঠোফোনে তিনি জানান, গত দুই বৈঠকের একটিতেও গাড়ি কেনার প্রস্তাব ওঠেনি। সূত্রগুলো জানায়, বৈঠকে কোনো আলোচনা হয়নি। তবে গাড়ি কেনার প্রস্তাব ক্রয় কমিটিতে অনুমোদনের জন্য ১৫ মে অর্থমন্ত্রীর মৌখিক সম্মতি নেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। আর অর্থমন্ত্রী এতে সম্মতিসূচক স্বাক্ষর দেন গত ২২ মে বুধবার।
ক্রয় কমিটিতে আলোচনা ছাড়া গাড়ি কেনার প্রস্তাব অনুমোদনের পথে কেন গেলেন অর্থমন্ত্রী ও জনপ্রশাসনমন্ত্রী—এমন প্রশ্নের জবাব জানতে গত বৃহস্পতিবার মুঠোফোনে দুজনের সঙ্গেই কথা বলার চেষ্টা করা হয়। ফোন না ধরায় খুদে বার্তা (এসএমএস) দেওয়া হয় তাঁদের হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে। ওই বার্তা তাঁরা ‘সিন’ করলে বা দেখলেও জবাব দেননি। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধুরীকে টেলিফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।অর্থ প্রতিমন্ত্রী আয়শা ওয়াসিকা খান বৃহস্পতিবার বলেন, এমন কোনো প্রস্তাব অনুমোদিত হওয়ার তথ্য তাঁর কাছে নেই।
ডিসি ও ইউএনওদের জন্য গাড়ি কেনার প্রস্তাব প্রথম নীতিগতভাবে অনুমোদিত হয় ২০২৩ সালের ১১ অক্টোবর অনুষ্ঠিত অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে। সব বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের অবহিত করা হলেও অর্থ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা গাজী তৌহিদুল ইসলাম ‘অনিবার্য কারণবশত’ ওই দিনের বৈঠকের বিষয় অবহিত করা হবে না বলে জানিয়ে দেন। যদিও ব্রিফ করার তখনকার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সাঈদ মাহবুব খান বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। গাড়ি কেনার দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান সরকারি যানবাহন অধিদপ্তর। অধিদপ্তরের পরিবহন কমিশনার মো. আবুল হাছানাত হুমায়ুন কবির বলেন, ‘ক্রয় কমিটি প্রস্তাবটি অনুমোদন করেছে বলে শুনেছি। চিঠি হাতে না আসা পর্যন্ত কিছু বলতে পারছি না।’
অর্থ বিভাগের দ্বৈত ভূমিকা
অর্থ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ডিসিদের ব্যবহারের পাশাপাশি ডিসি কার্যালয়ের জন্যও গাড়ি চেয়েছিল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। জানিয়েছিল, ডিসি ও ডিসি কার্যালয়ের জন্য ৯৬টি ও ইউএনওদের জন্য ৩৬৫টি অর্থাৎ মোট গাড়ি লাগবে ৪৬১টি। এতে ব্যয় হবে ৬১২ কোটি টাকা। অর্থ বিভাগ পুরো প্রস্তাবে রাজি না হয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে পথ বাতলে দেয় এবং নতুন করে আবেদন করতে বলে।
অথচ কৃচ্ছ্রসাধনের কথা বলে নতুন গাড়ি কেনায় বিধিনিষেধ জারি করেছে অর্থ বিভাগই। গত বছরের ২ জুলাই সরকারি ব্যয়ে কৃচ্ছ্রসাধনের লক্ষ্যে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে পরিচালন ও উন্নয়ন বাজেটের আওতায় সব ধরনের যানবাহন ক্রয় (মোটরযান, জলযান, আকাশযান) বন্ধ থাকবে বলে নির্দেশনা জারি করা হয়। আগের ২০২১-২২ ও ২০২২-২৩ অর্থবছরে সরকারি যানবাহন অধিদপ্তর নতুন কোনো গাড়ি কেনেনি।
একই সঙ্গে পরিচালন বাজেটের আওতায় মোটরযান, জলযান, আকাশযান খাতে বরাদ্দ করা অর্থ ব্যয় বন্ধ থাকবে বলেও নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়। এ-ও বলা হয়, ‘১০ বছরের বেশি পুরোনো মোটরযান প্রতিস্থাপনের ক্ষেত্রে অর্থ বিভাগের অনুমোদন নিয়ে ব্যয় করার সুযোগ রয়েছে।’ সেই সুযোগই কাজে লাগায় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। অর্থ বিভাগ নিজেই আবার গাড়ি কেনার ব্যয়সীমা গত বছরের ১ আগস্ট ৯৪ লাখ টাকার বদলে বাড়িয়ে ১ কোটি ৪৬ লাখ টাকা করেছে।
এ দিকে ১৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) ২০ কোটি টাকা চেয়ে আবেদন, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপজেলা প্রকৌশলীদের ৪৩৩টি গাড়ি চেয়ে আবেদন এবং পুলিশের গাড়ি কেনার জন্য ২২৬ কোটি টাকা চেয়ে আবেদন অর্থ বিভাগে পড়ে আছে। অর্থ বিভাগের একজন শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তা বলেন, অর্থ বিভাগে নানা তদবির আসে। অর্থসচিব বলিষ্ঠ ভূমিকা নিতে পারলেই অপ্রয়োজনীয় কেনাকাটা বাবদ অর্থ খরচ বেঁচে যায়। আবার বিষয়গুলো অনেক সময় অর্থসচিবের হাতেও থাকে না। ফলে নীরবে তিনি সায় দিয়ে যান।
জনপ্রশাসন সচিবের যত যুক্তি
ক্রয় কমিটিতে উপস্থাপনের জন্য তৈরি সারসংক্ষেপে জনপ্রশাসন সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধুরী বলেছেন, বিদ্যমান গাড়িগুলোর আয়ুষ্কাল ১৪ বছর এবং এগুলো ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার কারণে গত দুই বছরে সরকারি যানবাহন অধিদপ্তর কোনো যানবাহন কেনেনি। আর সরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে কেনার ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে ২০১০ সালের ১৪ অক্টোবর জারি করা একটি নির্দেশনা রয়েছে। ওই নির্দেশনায় সরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে পণ্য কেনায় অগ্রাধিকারের কথা বলা আছে।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, নতুন গাড়ি কিনতে সরকারের সরাসরি বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় হবে না। প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজ গাড়ির সব যন্ত্রাংশ আমদানি করে শুধু সংযোজন করবে। তবে এতে ডলার ব্যয় হবে। ক্রয় কমিটিতে পাঠানো সারসংক্ষেপে জনপ্রশাসনসচিব বলেছেন, ‘এটি জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী দেখেছেন, অনুমোদন করেছেন এবং ক্রয় কমিটির অনুমোদনের জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানোর ব্যাপারে সম্মতি দিয়েছেন।’ বাস্তবে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী হিসেবে বর্তমানে কেউ নেই। আগের মন্ত্রিসভায় ফরহাদ হোসেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী থাকলেও বর্তমান মন্ত্রিসভায় তিনি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী।
এদিকে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ জনপ্রশাসন সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধুরীকে এক চিঠি পাঠিয়ে এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসনের কথা জানিয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্ন হচ্ছে, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে কি কোনো গাড়ি নেই? কোথায় কয়টা গাড়ি আছে? সমাপ্ত প্রকল্পের গাড়িগুলো কী কী কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে? গাড়ি কেনার প্রস্তাবে মূল্য উল্লেখ করা নেই কেন?’ প্রস্তাবটি নীতিগত অনুমোদনের পর বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন প্রথম আলোকে বলেছিলেন, ‘ডলার-সংকট, উচ্চ মূল্যস্ফীতি, কম রাজস্ব সংগ্রহের এ পরিস্থিতিতে নতুন গাড়ি কেনা অপরিহার্য ছিল কি না—এটা আমার প্রশ্ন।’
নতুন করে জানতে চাইলে জাহিদ হোসেন গত বৃহস্পতিবার বলেন, সংকটের কারণেই গত নভেম্বরে এ প্রস্তাব আটকে দিয়েছিল প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। এ ছয় মাসে সংকট একটাও কাটেনি, বরং বেড়েছে। আর গাড়ি কেনার যুক্তিগুলো খুবই মামুলি। এ কারণেই হয়তো লুকোচুরি করা হচ্ছে। জাহিদ হোসেন আরও বলেন, ক্রয় কমিটির বৈঠকে আলোচনা ছাড়া যদি প্রস্তাবটিতে অর্থমন্ত্রী সম্মতি দিয়ে থাকেন, তাহলে তা ঠিক হয়নি। কারণ, ভবিষ্যতে এমন প্রশ্নবিদ্ধ উদাহরণকে সুযোগসন্ধানীরা কাজে লাগাতে চাইবে।