দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে আলু এবং পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত রয়েছে। তবুও খুচরা ও পাইকারি বাজারে কমছে না এসব নিত্যপণ্যের দাম। হিলি স্থলবন্দরের পাইকারি মোকামে ভালো মানের পেঁয়াজ ৭৫ টাকায় এবং একটু নিম্নমানের পেঁয়াজ ৬৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। সেই সঙ্গে খুচরা বাজারে নিম্নমানের পেঁয়াজ ৭০ টাকা কেজি দরে। ভারত থেকে আমদানি করা নতুন জাতের আলু ৭৫ টাকায় এবং পুরাতন আলু ৬৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আমদানির পরেও দাম না কমায় হতাশ ক্রেতারা।
হিলিতে কাঁচা বাজার নিতে আসা ইয়াছিন আলী বলেন, ভারত থেকে আমদানির অজুহাতে হিলির খুচরা বাজারে দাম বৃদ্ধি হয় কেজি প্রতি ১০ টাকা আর কমার সময় কমে মাত্র ২ টাকা। এ কেমন দেশের আইনব্যবস্থা! নিত্যপণ্যের দাম প্রতিদিন বাড়তেই থাকে। কমার কোন সম্ভাবনাই নেই। তবে পেঁয়াজ একটু নিম্নমানেরটা কেজি প্রতি ৫ টাকা কমে ৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এটা কোন কম না। পেঁয়াজ এবং আলুর দাম যদি কেজি প্রতি ৩০ থেকে ৪০ টাকার মধ্যে থাকতো তাহলে আমাদের কিছুটা স্বস্তি ফিরত।
হিলি বাজারের পেঁয়াজ ও আলু বিক্রেতা শাকিল মাহমুদ বলেন, ভারত থেকে আলু এবং পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত রয়েছে। তবে মোকামের ব্যবসায়ীরা বেশি দামে বিক্রি করছে। আমরা খুচরা ব্যবসায়ীরা বেশি দামে কিনে বেশি দামে বিক্রি করছি। যদি আমদানি অব্যাহত থাকে তাহলে দুই-তিনদিনের মধ্যে দাম কিছুটা কমে যাবে বলেও জানান তিনি।
হিলি কাস্টমসের তথ্য মতে, গতকাল বুধবার ভারতীয় ৬১ ট্রাকে ১ হাজার ৭০০ মেট্রিকটন আলু এবং ৪১ ট্রাকে ১ হাজার ২০০ মেট্রিকটন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে।