Skip to content

বাড়ি ঢুকে মাকে কুপিয়ে হত্যা, মেয়েকে মারধর

    বাড়ি ঢুকে মাকে কুপিয়ে হত্যা, মেয়েকে মারধরprothomasha.com

    বাগেরহাটের মোংলার মাকড়ঢোন এলাকায় এক নারীকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এক যুবকের বিরুদ্ধে। সোমবার রাতে এ ঘটনা ঘটেছে। হত্যাকাণ্ডের পর তার মেয়েকেও মারধর ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। তবে ঘটনার পর থেকে পলাতক থাকায় আজ মঙ্গলবার পর্যন্ত যুবককে ধরতে পারেনি পুলিশ।

    পরিবারের সদস্য ও পুলিশ জানায়, সোমবার রাতে পৌর শহরের মাকড়ঢোন এলাকার মেশের শাহ সড়কের সুনীল মল্লিকের বাড়িতে যান একই এলাকার মাইকেল মধুসূদন সড়কের বাসিন্দা তন্ময় মণ্ডল (৩৫)। তিনি বাড়িতে ঢুকে সুনীলকে খুঁজতে থাকেন। তবে তিনি বাড়ি না থাকায় তাঁর স্ত্রী সবিতা মল্লিক (৫০) এগিয়ে এলে তাঁকে জিজ্ঞেস করেন তিনি কোথায়। সবিতা মল্লিক জানান, তিনি প্রাইভেট পড়াতে গেছেন। তখন তন্ময় তাঁকে বাড়ির ভেতর থেকে রাস্তা পর্যন্ত এগিয়ে দেওয়ার কথা বলেন। তখন পুকুরপাড় পর্যন্ত গেলে তন্ময় তাঁকে কুপিয়ে পাশের ডোবায় ফেলে দেন।

    পরিবারের সদস্যদের ভাষ্য, তন্ময় সেখান থেকে ফিরে ফের সুনীলের বাড়িতে গিয়ে তাদের মেয়ে হ্যাপী মল্লিককে (২৫) মারধর করে গলা টিপে হত্যার চেষ্টা করেন। তাঁর চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে তিনি পালিয়ে যান। পরে তরুণী তাঁর মাকে খুঁজতে গিয়ে ডোবায় পড়ে থাকতে দেখেন। প্রতিবেশীদের সহায়তায় সবিতাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান মেয়ে। এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

    চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. মৌসুমি ইয়াছমিন বলেন, রক্তক্ষরণ হয়ে কিংবা পানিতে ফেলা দেওয়ায় ডুবে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনার পথেও মারা যেতে পারেন তিনি।

    তন্ময় মাকড়ঢোনের কালিপদ মণ্ডল ওরফে কালুর ছেলে। তিনি পেশায় ইজিবাইকচালক। ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক থাকায় বক্তব্য জানা যায়নি তাঁর। সুনীল মল্লিকের বক্তব্যও পাওয়া যায়নি। ফলে কী কারণে এ ঘটনা ঘটেছে, তা জানা সম্ভব হয়নি।

    এ ঘটনায় মোংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনিসুর রহমান বলেন, এটি নিশ্চিত একটি হত্যাকাণ্ড। হত্যাকারীকে ধরতে চেষ্টা করছে পুলিশ। তবে প্রাথমিকভাবে এ হত্যাকাণ্ডের কোনো ক্লু পাওয়া যায়নি। যুবককে ধরা গেলে মূল রহস্য উদঘাটন করা সম্ভব হবে।