অতিরিক্ত ভর্তি ফি আদায়ের অভিযোগে ফরিদপুরের সালথা উপজেলার সালথা সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. খায়রুল বাশারের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে শিক্ষার্থীরা। সোমবার বেলা ১১টায় বিদ্যালয়ের সামনে থেকে এ বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি সদরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে উপজেলা পরিষদের সামনে এসে শেষ হয়। পরে শিক্ষার্থীরা ওই প্রধান শিক্ষকের অনিয়মের বিষয়টি ইউএনওকে অবগত করেন।
সমাবেশে শিক্ষার্থীদের পক্ষে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী জান্নাতুল মাওয়া তার বক্তব্যে বলেন, বিদ্যালয়ে ভর্তি ফি ১৫০০ টাকা কিন্তু প্রধান শিক্ষক খায়রুল বাশার কয়েকজনের কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত নিয়েছেন। এ ছাড়া বিদ্যালয়ের ফান্ডের লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন তিনি। সম্প্রতি প্রধান শিক্ষকের দুর্নীতি-অনিয়মের প্রতিবাদ করায় তিনি তার ছেলেকে দিয়ে আমাদের বিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থীর ওপর হামলা করা হয়েছে।
এছাড়াও শিক্ষার্থীরা হামলাকারী প্রধান শিক্ষকের ছেলের বিচারের দাবি করে।
অভিযোগের বিষয়ে সালথা মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. খায়রুল বাশার বলেন, ছাত্রছাত্রীদের অভিযোগের বিষয়টি মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। ভর্তিতে ১৫০০ টাকার পরিবর্তে ৫ হাজার টাকা নেওয়ার অভিযোগও সঠিক নয়। কারণ টাকা নেওয়ার সময় রশিদ দেওয়া হয়।
সালথা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আনিছুর রহমান বালী বলেন, আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে আমি বিদ্যালয়ে গিয়ে খোঁজখবর নিয়েছি। সেই সাথে শিক্ষার্থীদের বুঝিয়ে ক্লাসে ফেরানো হয়েছে। বিদ্যালয়ে গিয়ে যতটুকু জানতে পেরেছি, বিদ্যালয়ের অর্থ নিয়ে শিক্ষকদের মধ্যে ঝামেলা চলছে। অন্যদিকে শিক্ষার্থীরাও প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ তুলেছে। পুরো ঘটনাটি তদন্তের জন্য আমরা একটি তদন্ত কমিটি গঠন করবো। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।