Skip to content

আ. লীগ নেতার বিরুদ্ধে আদালতে দুদকের চার্জশীট

    আ. লীগ নেতার বিরুদ্ধে আদালতে দুদকের চার্জশীটprothomasha.com

    অবৈধভাবে ১ কোটি ৩৬ লাখ ৫৫ হাজার ১৮৩টাকা মূল্যের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি অর্জন করায় রাজশাহীতে এক আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশীট দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

    আজ মঙ্গলবার সকালে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়, রাজশাহীর সহকারী পরিচালক মো. আমির হোসাইন মহানগর দায়রা জজ আদালতে এই চার্জশীট দাখিল করেন।

    অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনকারী আওয়ামী লীগ নেতা আতিকুর রহমান কালু মহানগরীর বোয়ালিয়া (পূর্ব) থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি।

    অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, গত বছরের পহেলা আগস্ট দুদকের রাজশাহী বিভাগীয় কার্যালয়ের তৎকালীন উপ-পরিচালক মো. আমিনুল ইসলাম বাদি হয়ে এই আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে একটি বিশেষ মামলা (মামলা নং-০৭/২০২৩) দায়ের করেন। দুর্নীতি দমমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬(২) ও ২৭ (১) ধারায় দায়ের করা এই মামলার তদন্তভার দেয়া হয় সহকারী পরিচালক মো. আমির হোসাইনকে।

    এর আগে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ পেয়ে আতিকুর রহমান কালুর সম্পদ বিবরণী দাখিলের নির্দেশ দেয় দুদক। গত বছরের ১৫ জানুয়ারি তিনি দুদকে তার সম্পদ বিবরণী দাখিল করেন। এতে তিনি নিজ নামে মোট ৯ কোটি ৬১ লাখ ৫০ হাজার ৯১৭ টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ দেখান। কিন্তু অনুসন্ধানে গিয়ে দুদক জানতে পারে, তার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ১১ কোটি ১৪ লাখ ৫৭ হাজার ৪৩২ টাকা। এর মধ্যে ১ কোটি ৫৩ লাখ ৬ হাজার ৫১৫ টাকার সম্পদের কোনো বৈধ উৎস পায়নি দুদক।

    অন্যদিকে আসামির আয়কর নথির তথ্য অনুযায়ী, ২০০৯-১০ থেকে ২০২২-২৩ করবর্ষ পর্যন্ত ১২ কোটি ৩৮ লাখ ১৭ হাজার ৮৩০ টাকা আয়ের তথ্য পাওয়া যায়। তাছাড়া আয় এবং দায়-দেনাসহ মোট ১২ কোটি ৬৮ লাখ ১৭ হাজার ৮৩০ টাকা গ্রহণযোগ্য উৎসের আয় পাওয়া যায়। পারিবারিক ব্যয় বাবদ তিনি ২ কোটি ৯০ লাখ ১৫ হাজার ৫৮১ টাকা খরচ করেছেন। এ ক্ষেত্রে তার আয়বহির্ভূত সম্পদ পাওয়া যায় ১ কোটি ৩৬ লাখ ৫৫ হাজা। ১৮৩ টাকা। এ দুই অপরাধে তার বিরুদ্ধে প্রথমে মামলা হয়। এরপর আজ মঙ্গলবার আদালতে চার্জশীট দাখিল করা হলো।

    মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. আমির হোসাইন জানান, আসামির নামে অসাধু উপায়ে অর্জিত ও তার জ্ঞাত আয়ের উৎসের সাথে ১ কোটি ৩৬ লাখ ৫৫ হাজার ১৮৩ টাকা মূল্যের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ অর্জন করে ভোগ দখলে রেখে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। এজন্য তার বিরুদ্ধে মহানগর দায়রা জজ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে।