শারজায় আফগানিস্তানের বিপক্ষে আজ সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে মাঠে নামছে বাংলাদেশ। আগের দুই ম্যাচে দু’দলই একটি করে জয় পাওয়ায় শেষ ম্যাচটি পরিণত হয়েছে ‘ফাইনালে’। যেখানে জয়ী দলের হাতে উঠতে সিরিজ জয়ের পুরস্কার। এমন ম্যাচে বাংলাদেশে চিন্তার অন্যতম নাম অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।
সবশেষ ম্যাচে বাংলাদেশের জয়ের অন্যতম নায়ক শান্ত। সিরিজ বাঁচানোর ম্যাচে ব্যাট হাতে ১১৯ বলে ৭৬ রানের একটা ইনিংস খেলেছেন শান্ত। যা এই উইকেটে দারুণ কার্যকর। তার আগে প্রথম ওয়ানডেতেও ব্যাট হাতে নেতৃত্বে দিয়েছেন শান্ত। সেই ম্যাচে ৬৮ বলে ৪৭ রান আসে শান্তর ব্যাট থেকে। যতক্ষণ উইকেট ছিলেন শান্ত। দলকে ম্যাচে রেখেছিলেন। এরপর তিনি ফিরতেই ব্যাটিং ধস শুরু। বাংলাদেশ নাটকীয়ভাবে শেষ ২৩ রান করতে ৮ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ হারে।
অর্থাৎ সবশেষ দুই ম্যাচেই ব্যাট হাতে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিয়েছেন শান্ত। দুই ম্যাচ শেষে সিরিজের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকও তিনিই। ব্যাট হাতে শান্তর রান ১২৩। এরপর অবস্থান আফগান ব্যাটার মোহাম্মদ নবীর। দুই ম্যাচ শেষে তার সংগ্রহ ১০১।
অথচ, সেই শান্তকে শেষ ম্যাচে পাওয়া যাওয়া নিয়েই দেখা দিয়েছে শঙ্কা। সবশেষ ম্যাচে ফিল্ডিংয়ের সময় কুঁচকিতে চোট পেয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। কাল রাতে যার এমআরআই করানো হয়েছে, রিপোর্ট পাওয়া যাবে ম্যাচের দিন সকালে। এরপরই বোঝা যাবে বিকেলে শুরু শেষ ম্যাচে তিনি খেলবেন কি না।
কোনো কারণে শান্ত মাঠে নামতে না পারলে তার জায়গায় দেখা যেতে পারে জাকের হাসানকে। অবশ্য পরশুর ম্যাচে জাকিরও ব্যথা পেয়েছেন। একাদশে না থাকলেও শান্তর পরিবর্তে ফিল্ডিং করতে নেমে হাঁটুতে বলের আঘাত পান তিনি। তবে সেটি জাকিরকে এখন আর ভোগাচ্ছে না বলেই জানা গেছে। যে কারণে শান্ত না থাকলে জাকেরকেই দেখা যেতে পারে একাদশে।
তবে সে যেই খেলুক, ঘুরে দাঁড়ানোর পর নিশ্চিতভাবেই এ ম্যাচ জিতে সিরিজ জয়ের ট্রফি নিয়ে দেশে ফিরতে চাইবে বাংলাদেশ। অবশ্য আফগানিস্তানও ছেড়ে কথা বলবে না। দু’দলের অতীত পরিসংখ্যান অবশ্য কিছুটা হলেও আশা জাগাচ্ছে বাংলাদেশকে।
ওয়ানডেতে ১৮ ম্যাচের ১১টিতেই জয় পেয়েছে বাংলাদেশ, হার ৭টিতে। তবে আলোচনাটা যখন দ্বিপক্ষীয় সিরিজের, তখন আবার জয়–পরাজয়ের ব্যবধান এত বেশি নয়। ১১ ম্যাচে বাংলাদেশ জিতেছে ৬টি, বাকি ৫টি জয় আফগানিস্তানের। সিরিজ জয় বাংলাদেশের বেশি, তবে সেখানেও ব্যবধান মাত্র ২–১–এর। এই ব্যবধানটা নিশ্চয় এবার বাড়িয়ে নিতে চাইবে নাজমুল শান্ত দল।