চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলা বিএনপির কার্যালয় ভাঙচুরের ঘটনায় ৮ বছর পর মামলা হয়েছে। মামলায় সাবেক গণপূর্তমন্ত্রী মোশাররফ হোসেন, তার ছেলে সাবেক এমপি মাহবুব উর রহমান রুহেলসহ ৯০ জনকে আসামি করা হয়েছে। ২০১৬ সালের ৭ সেপ্টেম্বর মিরসরাই পৌর ভবনের পাশে অবস্থিত বিএনপির দলীয় কার্যালয় ভাঙচুর ও উচ্ছেদের ঘটনা ঘটে।
গতকাল রবিবার মিরসরাই থানায় চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক এস এম হারুন বাদি হয়ে এ মামলা করেন।মামলার অন্য আসামিরা হলেন- সাবেক উপজেলা চেয়ারমেন জসীম উদ্দিন, মিরসরাই পৌরসভার সাবেক মেয়র গিয়াস উদ্দিন, বারইয়ারহাট পৌরসভার সাবেক মেয়র রেজাউল করিম খোকন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক এ কে এম জাহাঙ্গীর ভূঁইয়া, ১৬ ইউনিয়নের সকল চেয়ারমেন, মিরসরাই পৌরসভার সকল কাউন্সিলসহ অনেকে।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০১৬ সালের ৭ সেপ্টেম্বর মিরসরাই পৌর ভবনের পাশে অবস্থিত বিএনপির দলীয় কার্যালয় সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন ও সাবেক এমপি মাহবুব রহমান রুহেলের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের ৮০ থেকে ১০০ জনের একটি গ্রুপ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ভাঙচুর করে। বুলডোজার দিয়ে ভবন গুটিয়ে কার্যালয়ে থাকা টিভি, আসবাবপত্র ভাঙচুর করে ৬০ লাখ টাকার ক্ষতি করে। এ সময় বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। ওই সময় এ ঘটনায় থানায় মামলা করতে গেলে স্বৈরাচার সরকারের অনুসারীদের ভয়ে পুলিশ মামলা নেয়নি। উল্টা উপজেলার ১৬ ইউনিয়ন ও দু’পৌরসভার বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে হয়রানি করে।
মিরসরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল কাদের জানান, ‘বিএনপির কার্যালয় ভাঙচুরের অভিযোগে ৯০ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা হয়েছে। মামলার বাদী এস এম হারুন চট্টগ্রাম উত্তরজেলা যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক। এ মামলায় এজাহারনামীয় শহীদ খান নামে একজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’