বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস দ্রুত সংস্কার ও নির্বাচন অনুষ্ঠানে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন।অধ্যাপক ইউনূস নিউইয়র্কে টোকিও ভিত্তিক নিউজ আউটলেট এনএইচকে ওয়ার্ল্ডের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে এই প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
ড. ইউনূস জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে যোগ দিতে নিউইয়র্ক সফরের সময় গৃহীত এ সাক্ষাৎকার ভিত্তিক প্রতিবেদনটি গতকাল রবিবার প্রকাশিত হয়।সাক্ষাৎকারে ড. ইউনূস বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের কাজ হচ্ছে যত দ্রুত সম্ভব সংস্কার করা এবং সরকার প্রস্তুত হলেই নির্বাচন অনুষ্ঠান করবে।’
তিনি বলেন, ‘ব্যর্থতা এমন কিছু নয় যা আমরা মেনে নিতে পারি।’হাসিনা সরকারের পতনে প্রধান ভূমিকা পালনকারী ছাত্রদের কথা উল্লেখ করে ড. ইউনূস বলেন, ‘তরুণরা তাদের জীবন দিয়েছে।’
তিনি এ ঘটনাকে ‘বিপ্লব’ নামে অভিহিত করেছেন। তিনি নীতিনির্ধারণে তরুণ প্রজন্মকে অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়ে তার অবস্থানের ইঙ্গিত দেন।প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘এই সংকটময় সময়ে’ বাংলাদেশ তার সবচেয়ে বড় দাতা জাপানের কাছ থেকে সহায়তার অপেক্ষায় রয়েছে।’তিনি জোর দিয়ে বলেন, তার দেশের অর্থনীতি পুনর্গঠন এবং সেখানে গণতন্ত্রকে দৃঢ়মূল করতে সহায়তার জন্য জাপানের সহযোগিতা অপরিহার্য।
প্রসঙ্গত, টানা ১৫ বছরের বেশি সময় ক্ষমতায় থাকার পর ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার পতনের পর ড. ইউনূস অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব নেন। তিনি গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা। এ ব্যাংকটি সুবিধাবঞ্চিত ব্যক্তিদের বিনা জামানতে ক্ষুদ্রঋণ দিয়ে থাকে। তিনি এবং গ্রামীণ ব্যাংক ২০০৬ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কারে ভূষিত হন।