সাম্প্রতিক সময়ে পাঁচটি জুয়েলারি দোকানে চুরির ঘটনায় ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এই খাতের ব্যবসায়ীরা। তাঁরা বলেছেন, রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর দুষ্কৃতকারীরা জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানকে মূল লক্ষ্যে পরিণত করেছে।
বর্তমান পরিস্থিতিতে জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মো. মাইনুল হাসানকে গতকাল রোববার দেওয়া এক চিঠিতে বাজুসের সাধারণ সম্পাদক বাদল চন্দ্র রায় এই দাবি জানান।
সাম্প্রতিক সময়ে রাজধানীর রামপুরার মোল্লা টাওয়ারের দি মনিকা জুয়েলার্স ও সুলতানা জুয়েলার্স, মোহাম্মদপুর টোকিও স্কয়ার মার্কেটের নিউ আনাস জুয়েলার্স, মিরপুর-১০–এর এফএস স্কয়ার শপিং কমপ্লেক্সের আবান গোল্ড ও স্পার্কেল জুয়েলার্সে চুরির ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনায় চুরি হওয়া সোনার অলংকার ও নগদ টাকা উদ্ধারের পাশাপাশি চোরচক্রকে গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়ার দাবি জানিয়েছে জুয়েলার্স সমিতি।
চিঠিতে বাজুসের সাধারণ সম্পাদক বাদল চন্দ্র রায় উল্লেখ করেন, সোনার অলংকার এক স্থান থেকে অন্য স্থানে পরিবহনের ক্ষেত্রে জুয়েলারি ব্যবসায়ীরা প্রায়ই ছিনতাইসহ প্রশাসনিক হয়রানির শিকার হন, যা এই শিল্পের বিকাশে অন্তরায়।
ডিএমপি কমিশনারের কাছে বাজুস বিভিন্ন জুয়েলারি মার্কেটে সার্বক্ষণিক সশস্ত্র পুলিশ মোতায়েন এবং এক স্থান থেকে অন্য স্থানে সোনা পরিবহনের সময় প্রতিষ্ঠানের চালানের কপি, বহনকারীর জাতীয় পরিচয়পত্র ও জুয়েলার্স সমিতির পরিচয়পত্র প্রদর্শন করলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যাতে কোনো হয়রানি না করে, সে ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা নিশ্চিতের দাবি জানায়।