বৈরী আবহাওয়ার কারণে কক্সবাজারের লাবণী চ্যানেলে ‘এফবি রশিদা’ নামে একটি ফিশিং ট্রলারডুবির ঘটনায় দুজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।এদিকে উপকূলে ফিরতে পারেনি কক্সবাজারের ১৩টি মাছধরা ট্রলার। এসব ট্রলারে ৫ শতাধিক মাঝিমাল্লা রয়েছেন। যাদের সঙ্গে গত বুধবার থেকে ৪৮ ঘণ্টা ধরে যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।
কক্সবাজার ফিশিংবোট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন শুক্রবার রাতে গণমাধ্যমকে এসব তথ্য জানিয়েছেন।বঙ্গোপসাগরে নিখোঁজ ট্রলারগুলো হলো এফবি হাসান, এফবি আবছার, এফবি সাবিত, এফবি মায়ের দোয়া, এফবি কায়সার, এফবি আব্দুল মালেক এক দুই, এফবি আঁখি, এফবি তাহসিন, এফবি বাবুল, এফবি নাছির, এফবি সেলিম, এফবি নজির ও এফবি জনি।
ফিশিংবোট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন জানান, গত বুধবার থেকে টানা বর্ষণ হচ্ছে কক্সবাজার উপকূলে। গত ৪৮ ঘণ্টা ধরে ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টিপাতের ফলে উপকূলে ফিরছিলেন জেলেরা। কিন্তু পথে অনেক ট্রলার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সমুদ্রে ভেসে গেছে। তার মধ্যে ৮টি ট্রলার কলাতলী ও উখিয়ার ইনানীর পাটোয়ারটেক পয়েন্টে ভেসে এসেছে। সেখান থেকে তিন শতাধিক জেলেকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।
দেলোয়ার হোসেন আরও জানান, বুধবার থেকে কোনো ধরনের যোগাযোগ নেই ১৩টি ফিশিং ট্রলারের সঙ্গে। এসব ট্রলারে থাকা ৫ শতাধিক জেলের ফোন নম্বর বন্ধ। সে হিসেবে তারাও এখনও নিখোঁজ রয়েছেন।
এদিকে শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বঙ্গোপসাগরের লাবণী চ্যানেলে ‘এফবি রশিদা’ নামে একটি ফিশিং ট্রলারডুবির ঘটনায় দুজনের মৃত্যু হয়েছে। ট্রলারে থাকা ২৩ মাঝিমাল্লার মধ্যে ১৯ জন কূলে উঠতে পারলেও বাকি ৩ জন নিখোঁজ রয়েছেন। এদের মধ্যে তীরে ফেরা জেলেদের মধ্যে মোহাম্মদ জামাল (৩৭) নামে একজনের অবস্থা গুরুতর হলে তাকে হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। জামালের বাড়ি চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার চরম্বা এলাকায়।
এ ছাড়া রাত ৮টার দিকে রামু উপজেলার প্যাঁচার দ্বীপ পয়েন্টে নুরুল আমিন (৪০) নামে আরেক জেলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তিনি চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার শেখেরখিল এলাকার বাসিন্দা ছিলেন।