শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে দলের যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকনকে শোকজ করেছে বিএনপি। একই সঙ্গে তার বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তা জানতে চেয়ে কারণ দর্শানো নোটিশ দেওয়া হয়েছে। শোকজ নোটিশে আগামী তিন দিনের মধ্যে তাদের জবাব দিতে বলা হয়েছে।এবার এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে দলের শোকজের জবাব দেন যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন।বিজ্ঞপ্তিতে খায়রুল কবির খোকন বলেছেন, ‘গত ৩১ আগস্ট জুলকারনাইন সায়ের তার ভেরিফাইড ফেসবুক পেইজে পোস্ট দিয়ে যে সমস্ত ঘটনার বিষয়টা অবতারণা করেছেন, তা একান্তই সত্যের অপলাপ ছাড়া আর কিছুই নয়।’
তিনি জানান, ওই দিন গুলশানের একটি রেস্তোরাঁয় সাবেক এক সরকারি কর্মকর্তার সঙ্গে দেখা হয়। এ সময় তার সঙ্গে নানা আলোচনার এক পর্যায়ে ঢাকা মহানগর বিএনপি উত্তরের সাবেক আহ্বায়ক আব্দুল কাইয়ুম, গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক কৃষিবিদ শামীমুর রহমান, কৃষিবিদ হারুনুর রশিদসহ অনেকের সাথেও সাক্ষাৎ হয় ও কথা হয়।
এ সময় বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে আমার আত্মীয় বাংলাদেশ জুয়েলারি সমিতির সাবেক সভাপতি এনামুল হক দোলন দেখা করতে আসে। এ সময় সে কিছু অপ্রাসঙ্গিক বিষয় নিয়ে কথা বললে আমি বিব্রত হই এবং সহযোগিতা করতে অপারগতা প্রকাশ করি। এক পর্যায়ে সে দিলীপ কুমার আগরওয়ালার সঙ্গে আমাকে পরিচয় করিয়ে দেয়। দিলীপ কুমার আগরওয়ালাকে আমি কখনোই চিনতাম না এবং তার সাথে আমার পূর্ব পরিচয়ও ছিল না। ঘটনাটি একেবারেই আকস্মিক যা আমাকে রীতিমত বিব্রত করেছে বলে ব্যক্ত করেন মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন।
পরিশেষে তিনি বলেন, ‘আমি দৃঢ়ভাবে জানাতে চাই, আমার ছাত্র জীবনের রাজনীতি-লড়াই-সংগ্রামের ইতিহাস এবং জাতীয় রাজনীতিতে ত্যাগ, অবিচলতা, আনুগত্য, শৃঙ্খলার প্রতি শ্রদ্ধাশীলতা ও নৈতিকতার প্রশ্নে আপসহীন অবস্থানের কথা আমাদের দলের প্রতিটি নেতাকর্মী অবগত। আমার ইন্টিগ্রিটির প্রশ্নে তারা আস্থাশীল বলেও আমি বিশ্বাস করি।’