মোর্শেদ মাহমুদ তার স্ত্রী-সন্তানদের চাপে গ্রামের সম্পত্তি বিক্রি করে ঢাকায় একটি ফ্ল্যাট কিনে স্থায়ীভাবে চলে এসেছেন। তাদের মতে, গ্রামে আধুনিক ও উন্নত জীবনযাপনের সুবিধা পাচ্ছে না তারা। সন্তানদেরকে যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বেড়ে ওঠার জন্য গ্রাম ছেড়ে ঢাকায় আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মোর্শেদ সাহেবের স্ত্রী রেনু।
প্রথমদিন থেকেই পাশের ফ্ল্যাটের মুনিয়া ভাবী তাদের বাসায় আসা শুরু করেন। সব বিষয়ে তাদেরকে পরামর্শ দেন, আগ বাড়িয়ে সাহায্য করেন। সারাদিন তার এই আসা-যাওয়া একসময় রেণুর ভেতরে সন্দেহ তৈরি করে। মুনিয়ার স্বামী বিদেশে থাকে। মোর্শেদের সঙ্গে তার কোনো সম্পর্ক তৈরি হচ্ছে বলে রেণুর ধারণা। এ নিয়ে শুরু হয় সংসারে অশান্তি।
এদিকে, তাদের বড় মেয়ে প্রিয়ন্তী এলাকার প্রভাবশালী লোক শহীদ সাহেবের ছেলে অয়নের প্রেমে পড়ে। অয়ন বখাটে টাইপের ছেলে। প্রিয়ন্তীর উদ্দেশ হলো অয়ন যেহেতু প্রভাবশালী তাই তার সঙ্গে সম্পর্ক থাকলে অন্য কেউ ডিস্টার্ব করবে না। মোর্শেদ সাহেবের একমাত্র ছেলে সোহান শহরে আসার পর খুব দ্রুত বদলে যায়। বন্ধু-বান্ধব, পার্টি, আড্ডা, ঘুরে বেড়ানো, নতুন নতুন মেয়েদের সঙ্গে প্রেম, রাত করে বাড়ি ফেরা তার নিত্যনৈমিত্তিক কাজ হয়ে যায়। এ নিয়ে চিন্তিত মোর্শেদ সাহেব।
ছোট মেয়ে অবন্তীকেই শুধু নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেরেছেন। তিন ভাই-বোনের মধ্যে অবন্তী সহজ-সরল। মুনিয়া ভাবীর দেবর রাকিব পছন্দ করে অবন্তীকে। তবে অবন্তী তাকে পাত্তা দেয় না। অবন্তীকে নিয়ে বাবা-মা দু’জনেই নিশ্চিন্ত থাকেন। আর এই অবন্তীই একদিন পরিবারের সবচাইতে বড় বিপদের কারণ হয়ে ওঠে। এমনই এক গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে নাটক ‘সিটি লাইফ’।
শাহরিয়ার তাসদিকের রচনায় এটি নির্মাণ করেছেন নজরুল ইসলাম রাজু। ‘সিটি লাইফ’র বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন এফএস নাঈম, তানজিকা আমিন, নিশাত প্রিয়ম, পাভেল, তানজিম হাসান অনিক, মুকিত জাকারিয়া, মিলি বাসার, আব্দুল্লাহ রানা, শামীমা নাজনীনসহ অনেকে।নির্মাতা জানান, আজ রবিবার থেকে মাছরাঙা টেলিভিশনে শুরু হচ্ছে নতুন এই ধারাবাহিকটি। সপ্তাহে প্রতি রবি থেকে বৃহস্পতিবার রাত ৮টায় প্রচার হবে এটি।