দোয়া একটি স্বতন্ত্র ইবাদত। যেকোনো সময় দোয়া পড়া যায়। জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের দোয়া শিখিয়েছেন। এমনকি ছোট থেকে ছোট বিষয়েরও দোয়া শিখিয়েছেন। কিন্তু, আমাদের সব দোয়াই কি আল্লাহ কবুল করেন?আল্লাহ তাআলা এমন একজন দাতা যে চাইলে তিনি খুশি হন, বরং না চাইলে অসন্তুষ্ট হন। আব্দুল্লাহ (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, তোমরা আল্লাহ তাআলার কাছে তার দয়া ও রহমত চাও। কেননা চাইলে তিনি খুশি হন। (তিরমিজি, হাদিস : ৩৫৭১)
আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আমি আমার বান্দার সঙ্গে তেমন ব্যবহার করি আমার প্রতি সে যেমন ধারণা রাখে। আর সে যখন আমাকে ডাকে তখন আমি তার সাথেই থাকি।’ (বুখারি, হাদিস : ৬৮৫৬, মুসলিম, হাদিস : ৭০০৫)
নোমান বিন বাশির (রা.) বর্ণিত হাদিসে আছে, নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, দোয়াই ইবাদত। (আবু দাউদ: ১৪৮১)মহান আল্লাহ পবিত্র কোরআনে বলেন, তোমাদের প্রতিপালক বলছেন, ‘তোমরা আমাকে ডাকো। আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দেবো। নিশ্চয়ই অহংকারবশে যারা আমার ইবাদত থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়, তারা লাঞ্ছিত হয়ে জাহান্নামে প্রবেশ করবে।’ (সুরা মুমিন: ৬০)
আল্লামা তিবি (রহ.) বলেন, দোয়া হচ্ছে আল্লাহর কাছে বান্দার সর্বোচ্চ বিনয় প্রদর্শন এবং তার কাছে নিজের মুখাপেক্ষিতা প্রকাশ করা এবং তারই কাছে আশ্রয় নেয়া। (তুহফাতুল আহওযায়ী: ৯/২২০)বান্দার সব দোয়া কবুল হয়। মহান আল্লাহ কাউকে সঙ্গে সঙ্গে ফলাফল দেন, কাউকে পরে দেন, আর কাউকে হাশরের ময়দানে দেবেন। হজরত আবু সাঈদ আল-খুদরী (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে আছে,
নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যেকোনো মুসলমান পাপাচার বা আত্মীয় সম্পর্ক ছিন্ন করা ছাড়া যেকোনো দোয়া করলে আল্লাহ তাকে তিনটি জিনিসের যেকোনো একটি দান করেন।১. হয় দ্রুত তার দোয়া কবুল করেন। ২. তা তার পরকালের জন্য সঞ্চিত রাখেন। ৩. অনুরূপ কোনো ক্ষতি তার থেকে অপসারিত করেন। (আলআদাবুল মুফরাদ: ৭১০)