Skip to content

মির্জা ফখরুলের কাছে যে প্রশ্ন রাখলেন ওবায়দুল কাদের

    মির্জা ফখরুলের কাছে যে প্রশ্ন রাখলেন ওবায়দুল কাদের prothomasha.com

    আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘আমি ফখরুল সাহেবকে প্রশ্ন করতে চাই, গতকাল পুলিশ সদস্যকে নিষ্ঠুরভাবে এ হত্যার দায় কার? কারা হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে হামলা-ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ করল? আওয়ামী লীগের সভাপতির বাড়িতে হামলা চালাল? আমরা নিশ্চিতভাবে বিশ্বাস করি, সাধারণ শিক্ষার্থীরা এসব সন্ত্রাস ও সহিংস কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত নয়।’আজ শনিবার বিকেলে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।

    আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘শিক্ষার্থী কোটা সংস্কারের দাবি করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নিয়েছে। প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচারের জন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন গঠন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে কমিশন কাজ শুরু করে দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘসহ বিশ্বের যারা এই তদন্তকার্যে অংশ নিতে চায়, তাদের জন্য দরজা খোলা—এ কথা তিনি স্পষ্টভাবে বলে দিয়েছেন। সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের জন্য এখানে জাতিসংঘ যদি যুক্ত হয়, আমাদের কোনো আপত্তি নেই—সে কথা আমরা স্পষ্ট করে জানিয়েছি।’

    শিক্ষার্থীদের আন্দোলন বেহাত হয়ে গেছে দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সাইবার সন্ত্রাসীরা বিভিন্ন গুজব-অপপ্রচার চালাচ্ছে। দেশবিরোধী একটি মহল চলমান সংকট জিইয়ে রেখে ফায়দা লুটার তৎপরতা চালাচ্ছে। ইতোমধ্যে পরিষ্কার হয়ে গেছে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন বেহাত হয়ে গেছে, চলে গেছে তৃতীয় পক্ষের হাতে; যারা বাংলাদেশকে অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করতে এবং দেশকে খাদের কিনারায় নিয়ে যেতে চায়। এই অশুভ শক্তির অশুভ তৎপরতা আমরা সফল হতে দিতে পারি না।’

    তিনি আরও বলেন, ‘সব উসকানি ও নৈরাজ্যের মুখে শেখ হাসিনার সরকার ধৈর্য ও সংযমের মাধ্যমে পরিস্থিতি মোকাবিলা করছে। সবাই জানে বিএনপির সঙ্গে জামায়াতের সম্পর্ক কতটা নিবিড়-গভীর। আগেই বলেছিলাম, এ আন্দোলনকে ঘিরে সাম্প্রদায়িক অপশক্তি বিএনপি-জামায়াত লাশের রাজনীতি করছে। গতকাল তাদের ষড়যন্ত্র-উসকানির মাধ্যমে ছাত্রদল, ছাত্র শিবিরের ক্যাডার বাহিনী সহিংসতা করে পরিস্থিতি ঘোলাটে করার অপচেষ্টা করেছে। যার ফলে দুটি তাজা প্রাণ ঝরে গেল। পুলিশ বাহিনীর সদস্যসহ অনেকেই আহত। এছাড়া, অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্য তারা দেশের বিভিন্ন স্থানে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ করেছে।’