মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী হতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক ভোট পেয়েছেন। দেশটির স্থানীয় সময় শুক্রবার ডেমোক্রেটিক পার্টির ‘ন্যাশনাল কমিটি চেয়ার’ জেইম হ্যারিসন ভার্চ্যুয়ালি এক অনুষ্ঠানে এই ঘোষণা দেন।
গত বৃহস্পতিবার থেকে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী চূড়ান্ত করার লক্ষ্যে ই-মেইল যোগে ভোট গ্রহণ শুরু করে ডেমোক্রেটিক পার্টি। আগামী সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট প্রতিনিধিরা (ডেলিগেট) তাদের ভোট দিতে পারবেন। তবে ভোট গ্রহণ শুরুর ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে কমলা মনোনয়ন পাওয়ার জন্য তার প্রয়োজনীয় সংখ্যকের চেয়ে বেশি ভোট পেয়েছেন। খবর বিবিসির।শুক্রবার বিকাল পর্যন্ত কমলা দুই হাজার ৩৫০ প্রতিনিধির সমর্থন পেয়েছেন।
প্রতিনিধির সমর্থন পাওয়ার পর টেলিফোনে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় কমলা হ্যারিস বলেন, ‘আমরা আমেরিকার প্রতিশ্রুতিতে বিশ্বাস করি এবং এটিই আমাদের প্রচারণার বিষয়।’হ্যারিস আরও বলেন, ‘আমরা আছি, আমরা রাস্তায় আছি। কাজটি সহজ হবে না, তবে আমরা এটি সম্পন্ন করতে যাচ্ছি।’
ডেমোক্র্যাটরা বলেছেন, তিন হাজার ৯২৩ জন প্রতিনিধির ৯৯ শতাংশ কমলা হ্যারিসকে ভোট দেওয়ার পরিকল্পনা করেছেন। প্রার্থী বাছাইয়ের এই ভোট গত বৃহস্পতিবার শুরু হয় এবং সোমবার শেষ হবে।
৫৯ বছর বয়সী হ্যারিস ক্যালিফোর্নিয়ার ওকল্যান্ডে জন্মগ্রহণ করেন। দলের প্রায় ২০০ বছরের ইতিহাসে তিনিই প্রথম ডেমোক্রেটিক মনোনীত প্রার্থী, যিনি পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য থেকে এসেছেন। সান ফ্রান্সিসকোর আঞ্চলিক অ্যাটর্নি থেকে ক্যালিফোর্নিয়ার অ্যাটর্নি জেনারেল এবং তারপর মার্কিন সিনেটর হয়ে জাতীয় রাজনীতিতে আসেন কমলা হ্যারিস।
হ্যারিস প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ এবং দক্ষিণ এশীয় বংশোদ্ভূত নারী যিনি একটি বড় মার্কিন রাজনৈতিক দলের হয়ে হোয়াইট হাউসের জন্য লড়তে যাচ্ছেন। নভেম্বরে রিপাবলিকান মনোনীত প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে পরাজিত করলে তিনি হবেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট।গত মাসে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সরে যাওয়ার ঘোষণা দিয়ে ডেমোক্রেট প্রার্থী হিসেবে কমলা হ্যারিসকে সমর্থন জানান। পরে তিনি দলীয় প্রতিনিধিদের ভার্চুয়াল ভোটে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় মনোনয়ন পেলেন।
গত জুনে ৮১ বছর বয়সী ট্রাম্পের সঙ্গে টেলিভিশন বিতর্কে ভালো করতে না পারায় বাইডেন সরে যাওয়ার জন্য দলের মধ্যে থেকে ক্রমবর্ধমান চাপের সম্মুখীন হন। কমলা হ্যারিস সোমবারের মধ্যে তার রানিং মেটের (ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রার্থী) নাম ঘোষণা করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। আগামী ৫ নভেম্বর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।