টানা বর্ষণ আর পাহাড়ি ঢলে অস্বাভাবিক ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে সুনামগঞ্জের নদ-নদীর পানি। এ কারণে আবারও প্রবল বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।আজ সোমবার সকালে ৬৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয় সিলেটে। এর আগে ২৪ ঘণ্টায় হয় ৩৯ দশমিক ৬ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।২৪ ঘন্টায় ৬০ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বইছে সুরমা নদীর পানি।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) দেওয়া তথ্য মতে, সুরমা সিলেট পয়েন্টে, কুশিয়ারার অমলশীদ, শেওলা ও শেরপুর এবং লোভা, সারি, ডাউকি ও গোয়াইনসারি নদীর পয়েন্টে বিপৎসীমার কাছাকাছি পানি প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে আজ আরও কয়েকটি পয়েন্টে বিপৎসীমা ছাড়িয়ে যাবে। সিলেট ছাড়াও সুনামগঞ্জ অঞ্চলে পানি বাড়ছে। দুই জেলার নদী ছাড়াও আবার পানি বাড়ছে গ্রামীণ এলাকায়। আজ সকালে অনেক গ্রামীণ রাস্তা আবার তলিয়ে গেছে। পানি উঠছে বাড়ি-ঘরে।
স্থানীয়দের সূত্রে জানা গেছে, সীমান্তবর্তী পিয়াইন, ধলাই ও চেলা নদীর পানি বাড়ছে। আশ্রয়ন প্রকল্পেও পানি উঠেছে। আরেকটু বাড়লে ঘরেও পানি প্রবেশ করবে। অন্য উপজেলাগুলোতে পানি কমলেও স্বাভাবিক পরিস্থিতি হয়ে উঠেনি। ক্ষতিগ্রস্থ মানুষ যখন ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছিলেন ঠিক তখনই আবার বন্যা দেখা দিচ্ছে।
সিলেট আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মো. সজীব হোসাইন জানিয়েছেন, সিলেটে আগামী বুধবার পর্যন্ত বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সুনামগঞ্জে বৃষ্টিপাত হয়েছে ১৭০ মিলিমিটার ও চেরাপুঞ্জিতে ৩১৩ মিলিমিটার।পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, ভারতে এবং সুনামগঞ্জে অতিরিক্ত বৃষ্টি হওয়ায় সুনামগঞ্জে স্বল্পমেয়াদী বন্যা সৃষ্টি হতে পারে। এছাড়াও, আগামী ৪৮ ঘণ্টা ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্ভাবাস দিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।