বগুড়ার আদমদীঘিতে দুর্বৃত্তদের ধারাল অস্ত্রের আঘাতে কায়সার আলী (৬৪) নামের এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন। তিনি উপজেলার ছাতিয়ানগ্রাম ইউনিয়নের অন্তাহার গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন।আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ওই গ্রামের মসজিদের গেট থেকে কায়সারের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ধারাল অস্ত্রের আঘাতে মাথায় ক্ষত হয়ে প্রচণ্ড রক্তক্ষরণে তিনি নিহত হন।
পুলিশ ও নিহতের পারিবার সূত্রে জানা যায়, গ্রামের বিভিন্ন বাড়িতে দিনমজুরের কাজ করতেন কায়সার। গতকাল বুধবার রাত ১২টার দিকে বিদ্যুৎ চলে গেলে তিনি বাড়ি থেকে বেড়িয়ে আম কুড়িয়ে নিয়ে ছেলের স্ত্রী রাজুফা বেগমকে ডাকতে থাকেন। ডাকে সারা দিয়ে রাজুফা তার শ্বশুরকে আমগুলো নিজ হেফাজতে রাখতে বলে ঘুমিয়ে পড়েন। এরপর কায়সার আম কুড়াতে আবার বাড়ি থেকে বেড়িয়ে যান। গভীর রাতে দুর্বৃত্তদের ধারাল অস্ত্রের আঘাতে মাথায় ক্ষত হয়ে প্রচণ্ড রক্তক্ষরণে কায়সার নিহত হন।
অন্তাহার দক্ষিণপাড়া জামে মসজিদের ঈমাম আব্দুস সামাদ জানান, মোয়াজ্জিন ছুটিতে থাকায় তিনি ফজরের আজান দেওয়ার জন্য মসজিদে যান। এ সময় মসজিদের দক্ষিণ পাশের গেটের সামনে তিনি কায়সারের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন। পরে তিনি নামাজে আসা মুসল্লিদের বিষয়টি জানান। খবর পেয়ে আদমদীঘি সার্কেলের অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার ওমর আলী ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায় পুলিশ।
ওই গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘আমাদের দেখা গ্রামে লোকটির কোনো শত্রু নেই। ধরণা করা হচ্ছে, রাতের বেলা কোনো দুষ্কৃতিকারীর অপকর্ম দেখে ফেলায় ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে হত্যা করা হয়েছে।’ এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে দ্রুত আইনের আওতায় আনার জন্য তারা জোড় দাবি জানিয়েছেন।
আদমদীঘি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ময়েন উদ্দীন বলেন, ধারাল অস্ত্র দিয়ে মাথায় আঘাত করায় কায়সার নিহত হয়েছেন। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে কী ধরনের অস্ত্র দিয়ে এবং কারা, কীভাবে তাকে হত্যা করেছে, সেটির তদন্ত চলছে। পরিবারের পক্ষ থেকে একটি হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।