Skip to content

আফগানদের গুঁড়িয়ে ফাইনালে উঠে দক্ষিণ আফ্রিকার ইতিহাস

    আফগানদের গুঁড়িয়ে ফাইনালে উঠে দক্ষিণ আফ্রিকার ইতিহাস prothomasha.com

    আফগানিস্তানকে বিধ্বস্ত করে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে জায়গা করে নিল দক্ষিণ আফ্রিকা। আসরের প্রথম সেমিফাইনালে আফগানদের ৯ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে উঠল দলটি। যেকোনো ফরম্যাটের বিশ্বকাপের প্রথমবারের মতো ফাইনালে উঠে ইতিহাসও গড়ল প্রোটিয়ারা।

    আজ বৃহস্পতিবার ত্রিনিদাদের ব্রায়ান লারা স্টেডিয়ামে শেষ চারের ম্যাচে খেলতে নামে দুদল। বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ৬টায় ম্যাচটি শুরু হয়। যেখানে প্রথমে ব্যাট করতে নামা আফগানরা ১১.৫ ওভারে ৫৬ রানে গুটিয়ে যায়। বিশ্বকাপের নক আউটে সর্বনিম্ন স্কোরের বিব্রতকর রেকর্ড গড়ে আফগানরা। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৮.৫ ওভারের মধ্যে মাত্র এক উইকেট হারিয়ে অনায়াসে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় দ. আফ্রিকা।

    মাত্র ৫৭ রানের ছোট লক্ষ্য তাড়ায় শুরুতে কুইন্টন ডি ককের উইকেট হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রথম ৩ ওভার দারুণ বোলিং করে আফগানিস্তান। তবে আর বিপদ ঘটতে দেননি রিজা হেনড্রিকস ও মার্করাম। হেনড্রিকস ২৫ বলে ২৯ ও মার্করাম ২১ বলে ২৩ রান করে দলকে প্রথমবার ফাইনালে তোলেন।

    এর আগে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন আফগান অধিনায়ক রশিদ খান। তবে রশিদ খানের সিদ্ধান্তকে ভুল প্রমাণ করেছেন দক্ষিণ আফ্রিকান বোলাররা। প্রথম ওভার থেকেই আফগান ব্যাটারদের ছন্দ-পতন ঘটান মার্কো জানসেনরা। মুড়ি-মুড়কি মতো উইকেট হারাতে থাকে ইতিহাস গড়ে সেমিতে ওঠা দলটির।

    প্রায় প্রতি ওভারেই উইকেট হারাতে থাকা আফগানদের হয়ে একমাত্র দুই অংকের ঘরে পৌঁছাতে পারেন আজমতউল্লাহ ওমরজাই। ১০ রান করে তিনি আনরিখ নরকিয়ার বলে আউট হন। এছাড়া আর কোনো ব্যাটারই আশা জাগাতে না পারায় ১১.৫ ওভারে ৫৬ রানে শেষ হয় তাদের ইনিংস।প্রোটিয়া বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৩টি করে উইকেট পান জানসেন ও তাবরাইজ শামসি। এছাড়া কাগিসো রাবাদা ও নরকিয়া ২টি করে উইকেট দখল করেন।