Skip to content

স্ত্রী-ছেলেসহ মতিউর রহমানের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

    স্ত্রী-ছেলেসহ মতিউর রহমানের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা prothomasha.com

    ছাগলকাণ্ড নিয়ে ব্যাপক আলোচনায় আসা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সদস্য মতিউর রহমান, স্ত্রী নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলা চেয়ারম্যান লায়লা কানিজ ও পুত্র আহম্মেদ তৌফিকুর রহমান অর্নবের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।দুদকের এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ সোমবার ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেনে এ আদেশ দেন।

    দুদকের পক্ষে অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন এ আবেদন করেন। যা দুদক প্রসিকিউটর মীর আহাম্মদ আলী সালাম আদালতে উপস্থাপন করে শুনানি করেন।দুদকের সহকারী পরিচালক (প্রসিকিউশন সার্বিক) আমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

    আবেদনে বলা হয়, অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি মো. মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মাধ্যমে দেশে ও বিদেশে অবৈধ সম্পদ অর্জনসহ হন্ডি ও আন্ডারইনভয়েসিং/ ওভারইনভয়েসিং এর মাধ্যমে বিদেশে বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধানের নিমিত্তে ৩ সদস্য বিশিষ্ট অনুসন্ধান টিম গঠন করা হয়েছে।বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায় যে, মো. মতিউর রহমান ও তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যগণ দেশ ত্যাগ করার চেষ্টা করছেন। তাই সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তার এবং তার পরিবারের সদস্যদের বিদেশ গমন রহিত করা আবশ্যক।

    এর আগে গত রবিবার দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) মতিউর রহমানের দুর্নীতি ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধান শুরু করতে তিন সদস্যের একটি টিম গঠন করে। একই দিনে কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনালের সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে তাকে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগে সংযুক্ত (ওএসডি) করা হয়েছে। হারিয়েছেন তিনি সোনালী ব্যাংকের পরিচালক পদও।

    এর সবকিছুর পেছনে রয়েছে ‘ছাগলকাণ্ড’। ছেলে মুশফিকুর রহমান ইফাতের ১৫ লাখ টাকার ‘ছাগল কেনা’ ইস্যুতে তোপের মুখে পড়েন মতিউর। ইফাতের ছাগল কেনার বিষয়টি প্রথমে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যপক ভাইরাল হয়। এর পরই তা ‘টক অব দ্য কান্ট্রিতে’ পরিণত হয়। শুধু তাই নয়, বেরিয়ে আসে এই কর্মকর্তা ও তার পরিবারের অঢেল সম্পদের চিত্র।

    এদিকে মতিউরের ঘনিষ্ঠ কাস্টমস কর্মকর্তাদের কাছ থেকে গণমাধ্যম জানতে পেরেছে, আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে তিনি ভারতে পালিয়ে গেছেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী এরপর মতিউর রহমান ভারত থেকে সরাসরি দুবাইয়ের উদ্দেশে রওনা দিতে পারেন। প্রভাবশালী একটি সিন্ডিকেট তাকে দেশত্যাগে সহযোগিতা করেছে।

    জানা গেছে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অল্প সময়ে ভাইরাল হয়ে যাওয়ায় তিনি আতঙ্কে ছিলেন।কারণ তার চেহারা সবার পরিচিত। তবে প্রভাবশালী সিন্ডিকেটের পরামর্শে তিনি মাথার চুল ফেলে টাক হয়ে দেশ থেকে পালিয়ে যান। মূলত সবার কাছ থেকে চেহারা আড়াল করতে এই কৌশলের আশ্রয় নেন তিনি।