Skip to content

মতিউরের অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধানে দুদক

    মতিউরের অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধানে দুদক prothomasha.com

    জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সদস্য ড. মো. মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।এ নিয়ে আজ রবিবার তিন সদস্যের কমিটিও গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুদক সচিব খোরশেদা ইয়াসমীন। খোরশেদা ইয়াসমীন বলেন, ‘মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচারের অভিযোগে গত ৪ জুন কমিশন একটি অনুসন্ধান টিমের মাধ্যমে তদন্তের সিদ্ধান্ত নেয়। দুদকের উপ-পরিচালক মো. আনোয়ার হোসেনকে প্রধান করে একটি অনুসন্ধান কমিটি করা হয়েছে। কমিটির অপর দুই সদস্য হলেন- সহকারী পরিচালক মাহমুদুল হাসান ও উপ সহকারী পরিচালক সাবিকুন নাহার। অনুসন্ধান দলের সদস্যরা তাদের কাজ শুরু করেছেন।’জানা গেছে, গত দুই যুগে মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে চারবার দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। এসব অভিযোগ পৃথকভাবে অনুসন্ধান করে দুদক। প্রতিবারই দুদক থেকে অব্যাহতি পান তিনি। তবে ওইসব অভিযোগ প্রাতিষ্ঠানিক নানা অনিয়ম ও দুর্নীতি সংক্রান্ত ছিল বলে দুদকের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। সর্বশেষ পঞ্চম দফায় তার বিরুদ্ধে ৩১ বছরের চাকরি জীবনে ঘুষ-দুর্নীতির মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ জমা পড়ে। এ অভিযোগের বিষয়ে তার বিরুদ্ধে নতুন একটি অনুসন্ধান শুরু করল দুদক।এদিকে, আজ অর্থ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মকিমা বেগম স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বিসিএস (শুল্ক ও আবগারি) ক্যাডারের কর্মকর্তা কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট আপিলাত ট্রাইব্যুনালের প্রেসিডেন্ট মো. মতিউর রহমানকে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগে সংযুক্ত করা হয়েছে।জনস্বার্থে এই আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলেও প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।উল্লেখ্য, কোরবানির জন্য রাজধানীর ‘সাদিক অ্যাগ্রো’ থেকে ১৫ লাখ টাকায় একটি ছাগল কিনতে গিয়ে আলোচনার জন্ম দেন মতিউর রহমানের ছেলে মুশফিকুর রহমান ইফাত। তবে শুরুতে ইফাতকে ছেলে হিসেবে অস্বীকার করেন মতিউর রহমান।এ বিষয়ে মতিউর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ইফাত নামে আমার কোনো ছেলে নেই। এমনকি আত্মীয় বা পরিচিতও নন। আমার একমাত্র ছেলের নাম তৌফিকুর রহমান। একটি গোষ্ঠী আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছে।’তবে ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারী জানান, ইফাত তার মামাতো বোনের সন্তান। আর মতিউর রহমানই তার বাবা।এদিকে মতিউর রহমানকে রাষ্ট্রমালিকানাধীন সোনালী ব্যাংক পিএলসির পরিচালক পদ থেকে অপসারণ করা হচ্ছে। চলতি সপ্তাহের মধ্যে তাকে পরিচালক পদ থেকে অপসারণ করা হতে পারে বলে জানা গেছে।