Skip to content

বন্দী উদ্ধারের নামে গাজায় গণহত্যা চালাল ইসরাইল

    বন্দী উদ্ধারের নামে গাজায় গণহত্যা চালাল ইসরাইল prothomasha.com

    ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের হাতে বন্দী তাদের চার নাগরিককে উদ্ধারের গাজা উপত্যকার নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে গণহত্যা চালিয়েছে দখলদার ইসরাইল। এতে ২১০ ফিলিস্তিনি নিহত এবং ৪০০ জনেরও বেশি আহত হয়েছে। এ সময় তাদের একজন কর্মকর্তাও মারা গেছে বলে জানা গেছে।শনিবার গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস নিজেদের অফিসিয়াল এক্স অ্যাকাউন্টে এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানিয়েছে। এর আগে, হামাসের হাতে বন্দী তাদের চার নাগরিককে উদ্ধারের কথা জানায় ইসরাইল।আহতদের শরণার্থী ক্যাম্পটির আল আওদা এবং দেইর এল-বালাহর আল-আকসা হাসপাতালে নেয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছে গাজার মিডিয়া অফিস।উদ্ধারকৃতদের পরিচয় প্রকাশ করে ইসরাইলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, গত ৭ অক্টোবর ইসরাইলের দক্ষিণাঞ্চলে হামলা চালিয়ে নোভা মিউজিক ফ্যাস্টিভাল থেকে এ চারজনকে পণবন্দী করেছিল হামাস।তবে ইসরাইলি বাহিনী জানিয়েছে, গাজার নুসেইরাত এলাকা থেকে উদ্ধার এ চারজনের শারীরিক অবস্থা ভালো। তারপরও তাদেরকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।তাদেরকে নুসেইরাতের দুটি পৃথক স্থান থেকে উদ্ধার করা হয়েছে, জানিয়েছে ইসরাইলি বাহিনী।এর আগে, গত সপ্তাহে ইসরাইলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, গাজায় এখনো তাদের ১২০ জন নাগরিক বন্দী আছে। তাদের মধ্যে ৪১ জন মারা গিয়ে থাকতে পারে বলেও সন্দেহ সেনাবাহিনীর।গত ৭ অক্টোবর থেকে অভিযান চালানোর পর থেকে এটাই তাদের বন্দী উদ্ধারের সবচেয়ে বেশি সংখ্যা। এ নিয়ে জীবিত বন্দী উদ্ধারের সংখ্যা দাঁড়াল সাতজনে।এদিকে, গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় শিশুসহ রক্তাক্ত আহতদের ছবি প্রকাশ করেছে। এ আহতরা দেইর আল-বালাহ এলাকার আল-আকসা মার্টায়ার্স হাসপাতালের করিডোরে পড়ে রয়েছেন।গত ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরাইলি চলমান হামলায় এখন পর্যন্ত অন্তত ৩৬ হাজার ৮০১ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরো অন্তত ৮৩ হাজার ৬৮০ জন। ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা রয়েছে আরো কয়েক হাজার ফিলিস্তিনি। ধারণা করা হচ্ছে তারা আর বেঁচে নেই।ইসরাইলে হামাসের হামলায় ১ হাজার ১৪০ জন ইসরাইলি নিহত হয়েছে এবং ২৪০ জনকে হামাস বন্দী করে এনেছে বলে জানা গেছে।তবে ইসরাইলের কারাগারে বন্দী ফিলিস্তিনিদের বিনিময়ে হামাস ইতোমধ্যে ইসরাইলি বন্দীদের প্রায় অর্ধেককে মুক্তি দিয়েছে।গত নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্র ও কাতারের মধ্যস্থতায় করা স্বল্প সময়ের এক যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায় তাদেরকে ছেড়ে দেয়া হয়।