Skip to content

প্রাচীন সময়ে হজযাত্রা কেমন ছিল, তা দেখুন এই গেম খেলে

    প্রাচীন সময়ে হজযাত্রা কেমন ছিল, তা দেখুন এই গেম খেলে prothomasha.com

    আগামী ১৬ জুন অনুষ্ঠিত হবে পবিত্র হজ। হজে যাওয়া এখন বেশ সহজ। সৌদি আরবের জেদ্দার বিমানে উঠতে হবে। বাংলাদেশ থেকে সাত ঘণ্টা পর বিমান অবতরণ করবে জেদ্দা হজ টার্মিনালে। এরপর হজযাত্রীদের মক্কায় যাওয়ার জন্য বাস বা ট্যাক্সিতে ৮৫ কিলোমিটার পাড়ি দিতে হয়। কিন্তু কয়েক দশক আগে এ সফর ছিল ভীষণ কঠিন, ব্যয়বহুল ও বিপৎসংকুল। একেকটা সফরে প্রায়ই কয়েক মাস সময় লেগে যেত যাতায়াতে। সবাই এই সফর শেষ করতে পারতেনও না।

    কেমন ছিল প্রাচীন হজযাত্রা—বিপৎসংকুল মরুপথ? ঘরে বসেই সেই সফরে শামিল হওয়া যাবে একটি গেমে। মরুভূমির রুক্ষ আবহাওয়া, দুর্গম পাহাড়ি পথ, ডাকাতির ভয়—এই সবকিছু মাথায় রেখেই বিগত শতকে হজযাত্রীরা হজ করতে যেতেন মক্কায়। ‘দ্য হজ ট্রেইল’ নামের অনলাইন গেমে গত শতাব্দীর হজ ও হজযাত্রার ইতিহাস সম্পর্কে জানার সুযোগ পাচ্ছেন এই সময়ের মানুষ।

    ইতিহাস থেকে জানা  যায়, ১০০ বছর আগেও দামেস্কর হজযাত্রীরা পবিত্র মক্কায় সফর করতেন উটের কাফেলায় করে। ওই সময় দামেস্ক থেকে মক্কায় পৌঁছাতে অন্তত ৪০ দিন লাগত। সফরের সময় শুষ্ক মরু আর পাহাড়ি পথ পাড়ি দিতে গিয়ে মারা যেতেন বহু হজযাত্রী। তবে সেসব কষ্টের দিন এখন অতীত।‘দ্য হজ ট্রেইল’ তৈরি করেছেন টাইলার কিন। তিনি ইসলামের ইতিহাসের শিক্ষক, পড়ান যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কানেটিকাট স্টেট ইউনিভার্সিটিতে। এক বন্ধুর সঙ্গে মিলে ১৭ শতকের অটোমান হজযাত্রীদের ভ্রমণবৃত্তান্ত ব্যবহার করে তিনি তৈরি করেছেন ‘দ্য হজ ট্রেইল’।

    গেমটি যেমন

    দ্য হজ ট্রেইলের কাহিনি গড়ে উঠেছে একদল বসতি স্থাপনকারীদের ঘিরে। গেমের গল্পে দেখানো হয়েছে ১৭৬১ সালের অটোমানশাসিত তুরস্কের হজযাত্রীদের। গেমের মাধ্যমে পথের নানা রকম প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে হজযাত্রীদের পৌঁছাতে হবে মক্কায়। এই প্রতিবন্ধকতার মধ্যে খাদ্য-পানীয়ের অভাব, দস্যুদের হামলা থেকে শুরু করে সঙ্গী হওয়া অন্য যাত্রীদের প্রতারণার মতো বিষয়ও রয়েছে। দ্য হজ ট্রেইল গেমটিতে বর্তমানে পাঁচটি স্তর রয়েছে। অটোমান সাম্রাজ্যের একজন রাজকন্যার হজযাত্রা, এই গেমের সবচেয়ে সহজ স্তর আর সবচেয়ে কঠিন একজন সাধারণ বিধবা হিসেবে হজযাত্রা। পথচলায় সহযোগিতার জন্য সঙ্গী হতে পারে অন্য মানুষ, সৈনিক কিংবা ফ্যালকনের মতো শিকারি পাখি। সঙ্গীর সহযোগিতা নিয়েই পেরিয়ে যেতে হবে পথের সব প্রতিকূলতা এবং কেবল তখনই পৌঁছানো যাবে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে।