আগ্নেয়গিরির কথা উঠলেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে গরম লাভার ছবি। পৃথিবীর পাশাপাশি সৌরজগতের প্রায় সব গ্রহেই আগ্নেয়গিরি রয়েছে। এসব আগ্নেয়গিরির বেশির ভাগ নিষ্ক্রিয় হলেও সক্রিয় আগ্নেয়গিরির সংখ্যাও কম নয়। শুক্র গ্রহে এ ধরনের অসংখ্য সক্রিয় আগ্নেয়গিরি আছে। বিজ্ঞানীদের ধারণা, যেকোনো সময়ই শুক্র গ্রহে থাকা বিভিন্ন আগ্নেয়গিরি থেকে অগ্ন্যুৎপাত হতে পারে।সৌরজগতে আমাদের সবচেয়ে কাছের গ্রহ শুক্র। শুক্র গ্রহে এ পর্যন্ত প্রায় ৮০ হাজারেরও বেশি আগ্নেয়গিরির সন্ধান পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। সম্প্রতি ম্যাগেলান মহাকাশ মিশনের তথ্য বিশ্লেষণ করে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার বিজ্ঞানীরা গ্রহটির সম্পর্কে নতুন তথ্য প্রকাশ করেছেন। নাসার বিজ্ঞানীদের ধারণা, শুক্র গ্রহের বিভিন্ন আগ্নেয়গিরি এখনো সক্রিয় রয়েছে। শুধু তা–ই নয়, শুক্র গ্রহের সিফ মনস আগ্নেয়গিরি ও নিওবে প্লান্টিয়ার পশ্চিম অংশে লাভার প্রবাহও শনাক্ত করেছেন তাঁরা।ইতালির পেসকারার ডি’আনুনজিও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী ডেভিড সালকানিস বলেন, ‘শুক্র গ্রহের দুটি স্থানে আমরা যে লাভা প্রবাহ দেখেছি, তা বিশ্লেষণ করেছি। গ্রহটির আগ্নেয়গিরিগুলোকে পৃথিবীর আগ্নেয়গিরির সঙ্গে তুলনা করা যায়। সক্রিয় আগ্নেয়গিরি গ্রহটির অভ্যন্তরে ভূপৃষ্ঠ ও বাসযোগ্যতাকে প্রভাবিত করছে। ২০৩১ সালে নাসা শুক্র গ্রহে একটি নতুন মিশন পাঠানোর পরিকল্পনা করছে। ভেরিটাস নামের নতুন মিশনটি শুক্র গ্রহের ভূপৃষ্ঠের তথ্য সংগ্রহ করবে।’