সংসারে বোঝাপড়ার জন্য বয়সের ব্যবধান থাকাটা জরুরি কি না, এ নিয়ে আমাদের সমাজে নানা মত রয়েছে। একদল বলেন, সমবয়সী বিয়ে করা ভালো নয়। আরেক দল মনে করেন, এই যুগে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বয়সের পার্থক্য বেশি থাকাও সমীচীন নয়। আর স্ত্রী স্বামীর চেয়ে বয়সে বড় হবেন, এটা তো আমাদের সমাজে ভাবাই যায় না।
আমাদের দেশে বছরের পর বছর ধরে এ বিশ্বাস রয়েছে যে, একজন পুরুষ তার থেকে ছোট মেয়েকেই বিয়ে করবে। এভাবে বিবাহিত জীবন ভালো থাকে বলেও মনে করা হয়। যদিও বর্তমান সময়ে এসে সমবয়সী বিয়েও অনেক বেড়েছে। শুধু তাই নয়, বয়সে বড় মেয়ের সঙ্গেও বিয়ে বা প্রেম করতে পছন্দ করেন অনেক পুরুষ।
বিয়ে হলো দুই ব্যক্তির মধ্যে একটি প্রতিশ্রুতি, যা তারা একে অপরকে দেয়। একসঙ্গে ভালো থাকার স্বার্থে দুজনকেই অনেক পুরোনো অভ্যাস বদলাতে হয় । তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বয়সের এ পার্থক্যের পেছনে জৈবিক, শারীরিক, মানসিক এবং আর্থিক কারণ রয়েছে। বয়স ব্যক্তিত্বের ওপর গভীর প্রভাব ফেলে। একজন ব্যক্তির পরিপক্বতার জন্যও এটি গুরুত্বপূর্ণ। যদিও এর অনেক ব্যতিক্রম হতে পারে, যা পুরোপুরি অস্বীকার করা যায় না।
জৈবিক দিক
যদি জীববিজ্ঞানের ভিত্তিতে দেখা যায়, নারী ও পুরুষের মধ্যে বয়সের পার্থক্য থাকা উচিত। বার্ধক্যের লক্ষণ মহিলাদের তুলনায়, পুরুষদের মধ্যে অনেক পরে দেখা যায়। মহিলাদের দ্রুত বয়স্ক দেখাতে শুরু করে, তাই এ হিসেবে বয়সে ছোট মেয়েকে বিয়ে করা উচিত।
মানসিক দিক
মানসিকভাবে পরিপক্ব হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে যেকোনো ব্যক্তির মধ্যে মানসিক স্থবিরতা আসতে শুরু করে। সেক্ষেত্রে বয়সের ব্যবধানের কারণে সম্পর্কের ভারসাম্য বজায় থাকে। এ ধরনের সম্পর্ক সবসময় ভালো থাকে এবং বিরক্তিকর হয় না।
আর্থিক নিরাপত্তা
আর্থিক নিরাপত্তা এবং স্থিতিশীলতা বয়সের সঙ্গে আসে। যে ব্যক্তি এখনও সংগ্রাম করছে বা সবে কাজ শুরু করেছে, তিনি বাড়ির পরিচালনায় সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন। এ দৃষ্টিকোণ থেকে, বিয়ের জন্য একজন পুরুষ এবং একজন মহিলার মধ্যে বয়সের ব্যবধান থাকা ঠিক।
সম্পর্কের সমস্যা
প্রতিটি সম্পর্কের ক্ষেত্রেই ভালোবাসা গুরুত্বপূর্ণ। স্বামী বয়সে বড় হলে, ছোট স্ত্রীকে বেশি আদর করবেন। এতে সম্পর্কের মাধুর্য বজায় থাকবে। এছাড়াও মেনোপজ এবং গর্ভাবস্থার সঙ্গে সম্পর্কিত মহিলাদের অবস্থাও এ সত্যকে সমর্থন করে যে, মেয়ের বয়স কম হলে সম্পর্ক আরো ভালো কাজ করে।