ব্যবহৃত পুরোনো ঢেউটিন আর কাঠ দিয়ে বানানো স্টলে নিজেদের পণ্য সাজিয়েছে দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠান। পণ্য বলতে ডেনিম কাপড় ও পোশাক, বোতাম-জিপারের মতো সরঞ্জাম, রাসায়নিক ও প্রযুক্তি পণ্য। এই স্টলে বসেই ক্রেতা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের সঙ্গে ব্যবসায়িক আলাপ চলছে।
ঢাকার পূর্বাচলে ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় গতকাল সোমবার শুরু হওয়া বাংলাদেশ ডেনিম এক্সপোতে গিয়ে এমন চিত্রই দেখা গেল। দুই দিনের এই প্রদর্শনীতে বাংলাদেশ, চীন, তুরস্ক, স্পেন, পাকিস্তানসহ ১১টি দেশের ৬৩টি কোম্পানি অংশ নিয়েছে। এর মধ্যে চীনা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি—২৭। ডেনিম এক্সপোর এবারের আসরটি ১৬তম। এবারের প্রতিপাদ্য হচ্ছে রিইমাজিন বা নতুন করে ভেবে দেখা। দেশি-বিদেশি একাধিক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা জানান, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর দেশে দেশে উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে সব ধরনের পোশাকের বিক্রি কমে যায়। তার প্রভাবে গত বছর পর্যন্ত ক্রয়াদেশ তুলনামূলক কম ছিল। তবে চলতি বছরের শুরু থেকে ডেনিম পোশাকের ক্রয়াদেশ বাড়ছে।
অন্যবারের মতো এবারও ডেনিম এক্সপোতে অংশ নিয়েছে আরগন ডেনিম। গাজীপুরের শ্রীপুরে তাদের কারখানায় মাসে ১৬ লাখ ৫০ হাজার গজ ডেনিম কাপড়ের উৎপাদন সক্ষমতা রয়েছে। বর্তমানে উৎপাদন সক্ষমতার প্রায় পুরোটাই তারা ব্যবহার করছে। এমন তথ্য দিয়ে আরগন ডেনিমের সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং বিভাগের কর্মকর্তা অতনু দেব নাথ বলেন, বাংলাদেশের চাহিদার ৪৫-৫০ শতাংশ ডেনিম কাপড় আমদানি করতে হয়। ফলে ডেনিমে ব্যবসা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে মিলগুলোর।
ডেনিম এক্সপোতে পণ্য প্রদর্শনীর পাশাপাশি প্রথম দিনে দুটি প্যানেল আলোচনা ও একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। প্রদর্শনীর শেষ দিনে থাকবে তৈরি পোশাকশিল্পে পানির ব্যবহার নিয়ে সেমিনার। ডেনিম এক্সপোর আয়োজক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ অ্যাপারেল এক্সচেঞ্জের প্রধান নির্বাহী মোস্তাফিজ উদ্দিন বলেন, ডেনিম জগতের সর্বাধুনিক ফ্যাশন ট্রেন্ডসহ এই শিল্পের বিভিন্ন বিষয়ে অধিকতর জানাবোঝার পাশাপাশি স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিদের সঙ্গে ব্যবসায়িক সংযোগ স্থাপনের সুযোগ তৈরি করেছে ডেনিম এক্সপো।