ফরিদপুর সরকারি ইয়াসিন কলেজের পুরাতন বিল্ডিং (প্রশাসনিক) ভবন ও চারটি বড় মেহেগুনি গাছ নিলামে বিক্রি করে সরকারি আর্থিক ক্ষতি করেছে বলে অভিযোগ করেছে স্থানীয় ঠিকাদার ও এলাকাবাসী। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ এপ্রিল পুরাতন দোতলা বিল্ডিংটি যার আয়তন লম্বায় ১২৭ ফিট ও চওড়ায় ২৬ ফিট এবং চারটি মেহেগুনি গাছ কম দামে নিলামে বিক্রি করে দেওয়া হয়। গোপনীয়ভাবে নিলামে বিক্রি করার কারণে অভিযোগকারীরা অংশগ্রহণ করতে পারেনি বলে ফরিদপুর জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তারা হলেন মাহমুদুল হাসান, মো. মিজানুর রহমান, মো. দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ।
আভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, দুই লাখ ৭৬ হাজার টাকায় বিল্ডিং ও চারটি বড় গাছ ১ লাখ ২৫ হাজার টাকার কম দামে নিলামে বিক্রি করে দেয় কলেজ কর্তৃপক্ষ। এতে সরকারি খাতে বহু আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। বতর্মান বিন্ডিংটির বাজার মূল্য প্রায় ১৫ লাখ থেকে ২০ লাখ টাকা ও গাছের মূল্য ২ লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা। অভিযোগকারীরা তদন্ত সাপেক্ষে নিলামটি বাতিল করে পুনরায় নিলাম ডাকার জন্য জেলা প্রশাসককে লিখিত অভিযোগ জানায়।
এ বিষয়ে সরকারি ইয়াসিন কলেজের অধ্যক্ষ ফজলুল হক খানের সঙ্গে একাধিকবার ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি তার ফোনটি রিসিভ করেননি। তবে সরকারি ইয়াসিন কলেজের অফিস সহকারী মো. নজরুল ইসলাম জানান, আইনের বিধি মেনে বিল্ডিং ও গাছগুলি বিক্রি করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, নিলামের সময় ১৬ জন ঠিকাদার অংশগ্রহণ করেন। এ সময় জেলা প্রশাসনের প্রতিনিধি, বন বিভাগের প্রতিনিধি ও শিক্ষা প্রকৌশল বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী উপস্থিত ছিলেন। তবে নজরুল ইসলাম কোন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানে কাজ পেয়েছে এবং কারা উপস্থিত ছিল এদের নাম জানাতে পারেননি। এখানে কোনো দুর্নীতি হয়নি বলেও তিনি জানান।