রমজান শেষ হওয়ার কয়েকদিন পর থেকেই হুট করে বাজারে শসার দাম কমে গেছে। কয়েক দিন আগে ভালো দাম পেলেও বর্তমানে শসার দাম কমে যাওয়ায় দিনাজপুরের খানসামা উপেজেলার পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি শসা বিক্রি হচ্ছে ১ থেকে দেড় টাকায়। ফলে হতাশ হয়ে পড়েছেন কৃষকরা। জানা গেছে, কৃষকেরা শসা নিয়ে এসেছেন কিন্তু শসা কেনার ক্রেতা নেই। আশপাশ এলাকার ছোট ছোট ব্যবসায়ীরাই মূলত ক্রেতা। বেশিসংখ্যক ক্রেতা না থাকায় অল্প মূল্যে বিক্রি করতে মরিয়া কৃষকরা।
মহসিন নামে একজন কৃষক বলেন, ভ্যানে করে চার বস্তা শসা বাজারে এনেছেন তিনি। উৎপাদন খরচ তো পরের কথা, এখন ভ্যান ভাড়া ওঠানোই দায় হয়ে পড়েছে। তাই তিনি এক টাকা কেজি হিসাবে বিক্রি করে দিতে বাধ্য হয়েছেন। পাইকারি ব্যবসায়ী আরিফুল হক বলেন, বাজারে শসার ব্যাপক সরবরাহ রয়েছে। ক্রেতাদের চাহিদা না থাকায় শসার দাম নেই বললেই চলে। আজ ১ টাকা কেজি দরে শসা কিনেছি।
কৃষকদের অভিযোগ, ১০ থেকে ১৫ দিন আগে বাজারে শসার দাম ভালো থাকলেও গত সপ্তাহ থেকে দাম কমতে শুরু করে। রমজানের শুরুতে পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি শসা ৩০ থেকে ৩৫ টাকায় বিক্রি করলেও কয়েক দিন ধরে প্রতি কেজি শসা এক থেকে দেড় টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর খুচরা বাজারে প্রতি কেজি শসা বিক্রি হচ্ছে ৮ থেকে ১০ টাকা কেজি দরে। এতে লোকসান গুনতে হচ্ছে শসা চাষিদের।
খানসামা উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা ইয়াসমিন আক্তার বলেন, এ বছর খানসামা উপজেলায় ৫০ হেক্টর জমিতে শসা চাষ করা হয়েছে। চাহিদার বিপরীতে বাজারে শসার সরবরাহ কয়েক গুণ বেশি হওয়ায় বাজারের শসার দাম কমে গেছে। কৃষকরা ক্ষতির মুখে পড়েছেন। পাইকাররা জমি থেকে মাত্র ১ টাকা থেকে ২ টাকা কেজি দরে শসা কিনে খুচরা বাজারে তা ১০ টাকায় বিক্রি করছেন।