জয়ের জন্য ছয় বলে মাত্র ১ রানই দরকার ছিল রাজস্থান রয়্যালসের। কিন্তু সেঞ্চুরির জন্য জস বাটলারের দরকার ছিল ৬ রান। ক্যামেরন গ্রিনের শর্ট লেন্থের বল মিড উইকেট দিয়ে ছয়ই বানালেন বাটলার। দলের জয় তো এলই, আইপিএলে নিজের ১০০তম ম্যাচে ঠিক ১০০ রানই করলেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক।
বাটলারের খেলা ৫৮ বলে ১০০ রানের অপরাজিত ইনিংসে ঢাকা পড়ে গেছে বিরাট কোহলির সেঞ্চুরি। প্রথমে ব্যাট করে বেঙ্গালুরু তোলে ৩ উইকেটে ১৮৩ রান, যেখানে ৭২ বলে ১১৩ রানই কোহলির। কিন্তু বাটলার, সঞ্জু স্যামসনের সৌজন্যে রাজস্থান জয় তুলে ফেলে ৫ বল আর ৬ উইকেট হাতে রেখেই। এবারের আইপিএলে রাজস্থানের এটি চতুর্থ জয়। বিপরীতে পাঁচ ম্যাচ খেলে চারটিতেই হেরেছে কোহলির দল।
জয়পুরের মানসিংহ স্টেডিয়ামে রান তাড়ায় নামা রাজস্থান দ্বিতীয় বলেই হারিয়ে ফেলেছিল যশস্বী জয়সোয়ালকে। রিস টপলির বলে গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকে ক্যাচ দেন কোনো রান না করা এই বাঁহাতি। বেঙ্গালুরুর উৎসব–পর্ব শেষ পর্যন্ত এটুকুই। দ্বিতীয় উইকেটে বাটলার ও স্যামসন মিলে ধীরে ধীরে ম্যাচ নিজেদের নাগালে নিয়ে যান। দুজনে ৮৬ বলে তুলে ফেলেন ১৪৮ রান। স্যামসন ৪২ বলে ৬৯ রান করে আউট হলেও এক প্রান্ত ধরে রাখেন বাটলার। যে কারণে অন্য প্রান্তে রিয়ান পরাগ আর ধ্রুব জুরেলরা হাল ধরতে না পারলেও সমস্যা হয়নি রাজস্থানের।
ডানহাতি এ ব্যাটসম্যান ৫০ ছুঁয়েছিলেন ৩০ বলে, একই ধারা বজায় রেখে পরের ৫০ তুলে ফেলেন ২৮ বলে। আইপিএলে এটি তাঁর ষষ্ঠ সেঞ্চুরি, ক্রিস গেইলের সঙ্গে যৌথভাবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। সর্বোচ্চ সেঞ্চুরি যার, সেই কোহলি তাঁর অষ্টম তিন অঙ্কের ইনিংস স্পর্শ করেন ৬৭ বলে। আইপিএল ইতিহাসে যা যৌথভাবে মন্থরতম ইনিংস (অপর ইনিংসটি মনিষ পাণ্ডের, ২০০৯ সালে)।