উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের সঙ্গে দেখা করার অনুরোধ জানিয়েছিলেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা। আজ সোমবার এ দাবি করেছেন কিমের বোন কিম ইয়ো জং। তিনি বলেছেন, টোকিও নিজেদের নীতিতে পরিবর্তন না আনলে দুই নেতার মধ্যে এমন সাক্ষাতের সম্ভাবনা কম।
উত্তর কোরিয়া ও জাপান—দুই দেশের মধ্যে ঐতিহাসিক দ্বন্দ্ব রয়েছে। এ দ্বন্দ্বের অন্যতম কারণ—কয়েক দশক আগে উত্তর কোরিয়ার গোয়েন্দাদের হাতে জাপানি নাগরিক অপহরণ এবং নিষিদ্ধ অস্ত্র নিয়ে পিয়ংইয়ংয়ের তৎপরতা। এরপরও সম্প্রতি দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নে আগ্রহ প্রকাশ করেন ফুমিও কিশিদা।
গত বছর কিশিদা বলেছিলেন, তিনি ‘যেকোনো শর্তে’ কিম জং উনের সঙ্গে দেখা করতে আগ্রহী। গত শতকের সত্তর ও আশির দশকে উত্তর কোরিয়ার গোয়েন্দাদের হাতে জাপানি নাগরিকদের অপহরণের কারণে সৃষ্ট সংকটের সমাধান করতে চায় তাঁর দেশ। অপহরণের ওই ঘটনা এখনো জাপানিদের কাছে আবেগের একটি বিষয়।
উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা কেসিএনএ–এর খবরে বলা হয়েছে, ফুমিও কিশিদা অবিলম্বে কিম জং উনের সঙ্গে ব্যক্তিগত সাক্ষাতের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তবে টোকিও যদি তাদের নীতিতে বাস্তব পরিবর্তন না আনে, তাহলে উত্তর কোরিয়া ও জাপানের সম্পর্কে যে অবিশ্বাস ও ভুল–বোঝাবুঝি রয়েছে, তা থেকে বেরিয়ে আসা অসম্ভব।
এ নিয়ে আজ কিশিদা বলেছেন, কেসিএনএ–এর প্রতিবেদন সম্পর্কে তিনি জানতেন না। এ প্রতিবেদন সম্পর্কে সরাসরি মন্তব্য করেননি তিনি। তবে বলেছেন, উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে শীর্ষ পর্যায়ের আলোচনায় বসাটা ‘গুরুত্বপূর্ণ’। এ কারণেই তিনি বিভিন্নভাবে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।