পটুয়াখালীতে কলেজছাত্র জিসান হত্যা মামলার প্রধান অভিযুক্ত ‘বাইক বাপ্পি’ গ্রুপের প্রধান বাপ্পি এবং তার অন্যতম সহযোগী মাহিনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৮।রোববার (২৪ মার্চ) বেলা ১টায় র্যাবের পটুয়াখালী কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব-৮ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল কাজী যুবায়ের আলম শোভন।
র্যাব জানায়, গত শুক্রবার (৮ মার্চ) তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে পটুয়াখালীর গলাচিপায় কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় গুরুতর আহত হয় জিসান (১৮)। স্থানীয়রা জিসানকে উদ্ধার করে গলাচিপা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে। পরে সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়। ঢাকা মেডিকেলে ১১দিন চিকিৎসা নেওয়ার পর গত ১৯ মার্চ জিসানের শারীরিক অবস্থার উন্নতি দেখে তাকে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। কিন্তু বাড়িতে আনার পর ওই দিনেই জিসান পুনরায় অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাকে গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমেপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জিসানকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত জিসান পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা থানার দক্ষিণ চর বিশ্বাস গ্রামের বাসিন্দা মো. মশিউর রহমানের ছেলে এবং কেরামত আলী ডিগ্রি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র ছিলেন।র্যাব আরও জানায়, ৮ মার্চ সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় জিসান তার বন্ধু শামীমকে নিয়ে রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিল। এ সময় এক কিশোর রাস্তায় ধুলা উড়িয়ে মোটরসাইকেল চালিয়ে যাচ্ছিল। জিসান তাকে ধুলা না ওড়ানোর জন্য অনুরোধ করলে মো. বাপ্পি চৌকিদারের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। এ ঘটনার জের ধরে ওই দিন রাত ৮টার দিকে জিসান বাজারে গেলে বাপ্পি ও তার সহযোগীরা তার ওপর হামলা করে। হামলায় গুরুতর আহত হন জিসান।
এ ঘটনায় জিসানের বাবা বাদী হয়ে গলাচিপা থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন বলে জানিয়েছে র্যাব। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে প্রেস ব্রিফিংয়ে জানানো হয়েছে।