ফাইরুজ অবন্তিকা, যৌন হয়রানির প্রতিকার চেয়েও না পেয়ে ঝরে যাওয়া সর্বশেষ ফুল। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) আইনের এ শিক্ষার্থীর আত্মহত্যার ঘটনায় ফুঁসে উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। আন্দোলনের মুখে অভিযুক্ত শিক্ষার্থী আম্মান সিদ্দিকীকে বহিষ্কার ও সহকারী অধ্যাপক দ্বীন ইসলামকে চাকরি থেকে সাময়িক অব্যাহতি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ইতোমধ্যে দু’জনই গ্রেপ্তার হয়েছেন। জবির মতো বেশির ভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ে যৌন নিপীড়নে অভিযুক্তরা থাকেন ধরাছোঁয়ার বাইরে। যা দুয়েকজন অভিযোগ করেন, দলীয় রাজনীতির প্রভাব খাটিয়ে পার পাওয়ার চেষ্টাও করে অভিযুক্তরা। তবে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন জোরদার হলেই কেবল ঘুম ভাঙে প্রশাসনের। নড়েচড়ে বসে ‘যৌন নিপীড়ন ও নারী নির্যাতন প্রতিরোধ সেল’সহ নানা কমিটি।
২০০৯ সালে উচ্চ আদালত ছাত্রীদের সুরক্ষায় প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও কর্মস্থলে নারীকে প্রধান করে যৌন নিপীড়নবিরোধী পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠনের নির্দেশ দেন। দেড় দশক পরে এসে দেখা যাচ্ছে, বেশির ভাগ উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ‘যৌন নিপীড়ন ও নারী নির্যাতন প্রতিরোধ সেল’ থাকলেও শিক্ষার্থীদের সুরক্ষা মিলছে না। আবার সরকারি-বেসরকারি বেশির ভাগ কর্মস্থলে এ ধরনের সেল বা কমিটি নেই। একই দশা স্কুল-কলেজেও।