রোজা শুরুর আগেই অস্থির হয়ে উঠেছে নিত্যপণ্যের বাজার। চিনি-সয়াবিন থেকে শুরু করে ছোলা-সহ সব ধরনের ডালের দামই নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে অন্তত ৩০ টাকা বেড়েছে। লেবুর রস বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়। রমজানে নিত্যপণ্যের বাজারের অস্থিতিশীলতা যেন অঘোষিত নিয়ম। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। চিনি নিয়ে চিন্তা করবেন না। সরকার পর্যাপ্ত মজুদ থাকলেও তা কিনতে হচ্ছে ১৫০ টাকা কেজি দরে। ছোলা, ডাল ও ছোলার দামও বেড়েছে। নির্ধারিত দামেও মিলছে না সয়াবিন।
রাজধানী কারওয়ান বাজারে আসা এক ক্রেতা দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধির ফলে জীবন চালানো খুবই কঠিন হয়ে পড়েছে। প্রতি ডজন বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৮০ টাকায়। লেবু কিনতে আসা এক ক্রেতা বলেন, ‘সামনে রমজান। তারা (বিক্রেতারা) দেখেন, তারা যা চান তা পান। যে কারণে দাম বেশি। তিনি মনে করেন, একসঙ্গে ৫ জন সিন্ডিকেট করেছেন।তবে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা মুরগির বাজারে। ব্রয়লার প্রতি কেজি ২৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা বেড়ে ৩০ টাকা। সোনালি মুরগির কেজি ৩৬০ টাকা। এ কারণে বিক্রেতারা কৃষকদের মানহানি করলেও ভোক্তারা বলছেন সিন্ডিকেটের কথা। একজন বিক্রেতা বলেন, “এটা কৃষকদের ব্যাপার। তারা যেমন খুশি তাই করে।” একজন গ্রাহক অভিযোগ করেন, ‘230 টাকা ব্রয়লার। আমি কাজ করে প্রতিদিন 400 থেকে 500 টাকা আয় করি। তাহলে কিভাবে যাব?
এক কেজি গরুর মাংসের জন্য ৭৫০ টাকা। খাসির মাংস ১২০০। মাছেও স্বস্তি নেই। রুই 350, পাঙ্গাস – তেলাপিয়া 200 টাকা কেজি। মাংস কিনতে আসা এক ক্রেতা বলেন, আমাদের মতো নিম্নবিত্ত, মধ্যবিত্তদের জন্য এটা খুবই কষ্টকর। এ অবস্থায় রোজা শুরুর আগে বাজারে কার্যকর তদারকির দাবি জানিয়েছেন ভোক্তারা।