সোনার দাম গতকাল মঙ্গলবার রেকর্ড উচ্চতায় উঠেছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের সাংবাদে বলা হয়েছে, মূলত দুটি কারণে সোনার দাম বাড়ছে। একদিকে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ মুদ্রানীতির রাশ আলগা করবে—এমন খবর অনেক দিন ধরে বাজারে ঘুরে বেড়াচ্ছে এবং সেই সঙ্গে ভূরাজনৈতিক উত্তেজনার কারণে নিরাপদ বিনিয়োগ মাধ্যম হিসেবে মানুষ আবারও সোনার দিকে ঝুঁকছে।এশিয়ার বাজারে সোনার চাহিদা বেশি এবং এখন তা আরও বাড়ছে। অন্যদিকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিরাপদ রিজার্ভ হিসেবে সোনা কিনছে। গত আট মাসে তারা যত সোনা বিক্রি করেছে, তার চেয়ে বেশি পরিমাণে কিনেছে। গতকাল মঙ্গলবার সোনার স্পট মূল্য শূন্য দশমিক ৯ শতাংশ বেড়ে ২ হাজার ১৪১ ডলারে উঠে যায়; এরপর তা আবার ২ হাজার ১৩০ ডলারে নেমে আসে। ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে সোনার দাম এযাবৎকালের সর্বোচ্চ আউন্সপ্রতি ২ হাজার ১৫০ ডলারে উঠেছিল।
স্বাধীন বিশ্লেষক রস নরম্যান আশা করছেন, চলতি বছর সোনার দাম আউন্সপ্রতি ২ হাজার ৩০০ ডলারে উঠে যাবে। তিনি বলেন, এটা নিশ্চিত ফেডারেল রিজার্ভ নীতি সুদহার কমাতে যাচ্ছে এবং তার জেরে সোনার বাজার সেদিকে ধাবিত হবে, অর্থাৎ দাম এই পর্যায়ে উঠে যাবে। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে সোনার দাম এই পর্যায়ে উঠবে তা হয়তো নয়; সম্ভবত আগামী ছয় মাসের মধ্যে সোনার দাম ২ হাজার ৩০০ ডলারে উঠবে।এদিকে সোনার চাহিদার আরেকটি বড় জায়গা হচ্ছে সোনা–সমর্থিত এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ড। কিন্তু গত কয়েক দিন ধরে ইটিএফ ফান্ডের সূচক কমছে। বিশ্বের বৃহত্তম স্বর্ণ-সমর্থিত ইটিএফ এসপিডিআর গোল্ডের সূচক চলতি বছর ৭ শতাংশ কমেছে।সোনার সঙ্গে স্পট মার্কেটে রুপার দামও বাড়ছে। সোমবার থেকে এই ধারা শুরু হয়েছে এবং সর্বশেষ রুপার দাম ছিল আউন্সপ্রতি ২৩ দশমিক ৯৪ ডলার, ২৮ ডিসেম্বরের পর যা সর্বোচ্চ।