Skip to content

দেড় লাখের মধ্যে ১ লাখ ১০ হাজার ইভিএমই নষ্ট

    দেড় লাখের মধ্যে ১ লাখ ১০ হাজার ইভিএমই নষ্ট prothomasha.com

    দেড় লাখের মধ্যে ১ লাখ ১০ হাজার ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনই (ইভিএম) নষ্ট হয়ে গেছে। যার দাম প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকা। বাকি ৪০ হাজারও অকেজো হওয়ার পথে। এই মেশিনগুলোর আয়ু ১০ বছর হলেও পাঁচ বছরে সবগুলোই মৃতপ্রায়।২০১৮ সালে একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে কেনা হয় দেড় লাখ ইভিএম। প্রতিটি ইভিএমের দাম ২ লাখ ৩৫ হাজার টাকা। সব মিলিয়ে নির্বাচন কমিশন (ইসি) খরচ করে ৩ হাজার ৮ শ কোটি টাকা। সে বছর মাত্র ছয়টি আসনে ইভিএমে ভোট হয়েছিল।

    এরপর ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে দেড় শ আসনে ইভিএমে ভোট করতে চেয়েছিল ইসি। বরাদ্দ চেয়েছিল প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু টাকাও পায়নি, ইভিএমে ভোটও হয়নি।সরকারি সম্পদ, এই দেড় লাখ ইভিএম পড়ে রয়েছে অনাদরে-অবহেলায়। যেই মেশিনগুলো দিয়ে ১০ বছর ভোট নেওয়ার কথা ছিল সেগুলো পাঁচ বছরেই অচল হয়ে পড়েছে। দেড় লাখের মধ্যে এখন বেঁচে আছে মাত্র ৪০ হাজার ইভিএম। ক্ষতি প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকা।

    এ প্রসঙ্গে ইভিএম প্রকল্প পরিচালক কর্নেল সৈয়দ রাকিবুল হাসান জানান, সঠিকভাবে রক্ষণাবেক্ষণ সম্ভব হয়নি বলেই এই ১ লাখ ১০ হাজার ইভিএম নষ্ট হয়ে গেছে।জুনে শেষ হচ্ছে ইভিএম প্রকল্প। কিন্তু এখনও মেশিনগুলো নিয়ে কারো কোনো নড়চড় নেই। হাজার হাজার কোটি টাকার মেশিন নিয়ে ভাবছে না ইসি বা প্রকল্প কর্মকর্তারাও।কর্নেল সৈয়দ রাকিবুল হাসান আরও জানান, যদি সঠিকভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করা না হয় ১০ বছর মেয়াদ থাকলেও ইলেক্ট্রনিক ডিভাইসে নানা কারণে ত্রুটি দেখা দিতে পারে।

    নষ্ট ইভিএমগুলো আর টেনে নিতে চায়না নির্বাচন কমিশনও। শেষ পর্যন্ত চার হাজার কোটি টাকার সম্পদ ভাগাড়ে যাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেন, বরাদ্দ না পেলে নষ্ট ইভিএম দিয়ে তো কিছু করার নেই। এ ছাড়া ভবিষ্যতে নতুন করে ইভিএম কেনা নিয়ে তেমন কোনো পরিকল্পনা নেই ইসির। সংসদ, স্থানীয় ও উপনির্বাচন মিলে প্রায় ১৪০০ নির্বাচন হয়েছে ইভিএমে। আর ভোট দিয়েছে প্রায় আড়াই কোটি ভোটার।