লিগ পর্বে দলের শেষ দুটি ম্যাচে খেলা হয়নি, অনুশীলনকালে মাথায় বলের আঘাত পাওয়া বাঁহাতি পেসার মোস্তাফিজুর রহমান খেলতে পারেননি প্রথম কোয়ালিফায়ারেও। তার সার্ভিস না পেলেও অবশ্য তেমন কোনো সমস্যা হয়নি কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের, পারফরম্যান্সে ধারাবাহিকতা রেখেই ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা উঠে গেছে দশম বিপিএলের ফাইনালে। ১ মার্চ সেই ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ কারা, তা জানা যাবে আজ। তবে বিপিএল ফাইনালে ‘অজেয়’ কুমিল্লা জেনে গেছে, চাইলেই মোস্তাফিজকে পাওয়া যাবে একাদশে।
মাথায় বলের আঘাতে রক্তাক্ত হয়ে হাসপাতালে যেতে হয়েছিল মোস্তাফিজকে। চোটাক্রান্ত স্থানে পাঁচটি সেলাই পড়ার পর ছিলেন নিবিড় পর্যবেক্ষণে। দুদিন পর বাঁহাতি পেসার ছাড়া পান হাসপাতাল থেকে, তখন অনেকেই ভেবেছিলেন-এই বিপিএলে আর হয়তো খেলা হবে না তার। তবে তার দল কুমিল্লা এবং বিসিবির তরফ থেকে আগেই জানিয়ে দেওয়া হয়, চোট অতটা গুরুতর নয়। তাই তারকা পেসারকে নিয়ে শঙ্কা ছিল না। অপেক্ষা ছিল সবুজ সংকেত পাওয়ার। ইতিমধ্যে সেটিও পেয়ে গেছে কুমিল্লা।
জানা গেছে, মাঠে ফেরার জন্য মোস্তাফিজ এখন পুরোপুরি ফিট। আগামী শুক্রবার বিপিএলের দশম আসরের শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে খেলতে কোনো বাধা নেই। তবে তাকে খেলানো হবে কি না, সেটি এখন কুমিল্লা টিম ম্যানেজমেন্টের সিদ্ধান্ত। বিসিবির প্রধান ক্রীড়া চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী এমনটাই জানালেন। মঙ্গলবার সময়ের আলোকে তিনি বলেছেন, ‘মোস্তাফিজকে ডাক্তার দেখেছে, ওর মাথার সেলাই খুলে দেওয়া হয়েছে। খেলার জন্য ছাড়পত্রও দেওয়া হয়েছে, তাই ফাইনালে খেলতে কোনো বাধা নেই।’
মোস্তাফিজের সেরে ওঠার খবর কুমিল্লার পক্ষ থেকে আগেই নিশ্চিত করা হয়েছিল। চাইলে রংপুরের বিপক্ষে প্রথম কোয়ালিফায়ারেই তাকে খেলাতে পারত দলটি। কিন্তু কোনো ধররেন ঝুঁকি নিতে চায়নি তারা। তবে সামনে যেহেতু ফাইনাল, সেখানে দলের পেস আক্রমণের সেরা অস্ত্রকে হয়তো বসিয়ে রাখতে চাইবে না কুমিল্লা।