ঘোষিত হল গেল বছরের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ চলচ্চিত্র পুরস্কার ‘বাফটা।’ এ বছর বাফটার মঞ্চেও জয়জয়কার ক্রিস্টোফার নোলানের ওপেনহাইমারের। ‘ওপেনহাইমার’ বাফটা ফিল্ম অ্যাওয়ার্ডসে শ্রেষ্ঠ পরিচালক, সেরা চলচ্চিত্র এবং সেরা প্রধান অভিনেতার পুরস্কারসহ সাতটি বাফটা পুরস্কার জিতেছে। পুওর থিংস জিতেছে পাঁচটি বাফটা অ্যাওয়ার্ড।
অন্যদিকে, একবিংশ শতকে বলিউডের সবচেয়ে সফল অভিনেত্রী কে, এমন প্রশ্নের জবাবে প্রায় সবাই নির্দ্বিধায় বলে দেবেন দীপিকা পাড়ুকোনের নাম। গ্ল্যামার আর অভিনয়ে জনপ্রিয়তার আকাশ ছুঁয়েছেন তিনি, আবার নানাবিধ পুরস্কারেও ঝুলি ভরেছেন।এ বছর বাফটায় হাজির ছিলেন হলিউডসহ বিশ্ব চলচ্চিত্র অঙ্গনের সব নামিদামি তারকা। তারকাদের মেলায় হাজির ছিলেন এই বলিউড ডিভা দীপিকা পাড়ুকানও। বাফটায় দীপিকা ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেছেন শাড়ি পরেই।
শাড়িতে তার মোহময়ী লুক নজর কেড়েছে বিশ্ব মিডিয়ায়। বাঙালি ডিজাইনার সব্যসাচীর তৈরি শিমারি শাড়ি ও ব্যাকলেস ব্লাউজ, চুলে মেসি বান, চোখে মোটা কাজল পরিহিত দীপিকা আলো ছড়িয়েছেন বাফটার রেড কার্পেটেও। লন্ডনের ‘রয়াল ফেস্টিভাল হল’-এর লাল গালিচায় অভিনেত্রীর হাঁটার সেই ছবি-ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল এখন।
প্রথমবারের মতো বাফটার মঞ্চে যান তিনি। এবারের বাফটার সঞ্চালনা করেছেন ব্রিটিশ অভিনেতা ডেভিড টেন্যান্ট। পুরস্কার দেওয়ার জন্য মঞ্চে তার সঙ্গে যোগ দেন দীপিকা পাড়কান। উপস্থাপক হিসেবে মঞ্চে আরও হাজির ছিলেন হিউ গ্রান্ট, দুয়া লিপার মতো তারকারা। তাদের মাঝেই দীপিকার উজ্জ্বল উপস্থিতি নজর কাড়ে সবার। রোববার ইংল্যান্ডের লন্ডনের রয়াল ফেস্টিভাল হলে অনুষ্ঠিত হয় এ বছরের বাফটা আয়োজন।
প্রসঙ্গত, বলিউড হাঙ্গামার প্রতিবেদন অনুসারে, ভারতের সব সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির মধ্যে দীপিকাই একমাত্র অভিনেত্রী, যার অভিনীত ১০টি ছবি স্থানীয় বাজারে ১০০ কোটির বেশি আয় করেছে। এছাড়া দেড় দশক ধরে সমান জনপ্রিয়তা ধরে রাখার ক্ষেত্রেও এই তারকা অনন্য। গেল বছরের জানুয়ারিতে ‘পাঠান’ দিয়ে নিজের নবম সেঞ্চুরি হাঁকান দীপিকা। আর চলতি বছরের ২৫ জানুয়ারি মুক্তি পাওয়া তার নতুন ছবি ‘ফাইটার’ ইতোমধ্যে ১০০ কোটির ক্লাবে প্রবেশ করেছে। ফলে ১০টি সেঞ্চুরি নিয়ে ফের জনপ্রিয়তার চূড়ায় দীপিকা।
ভারতের বক্স অফিসে দীপিকার সেঞ্চুরি হাঁকানো ছবিগুলো হলো- ‘পাঠান’ (৫৪৩ কোটি), ‘পদ্মাবত’ (৩০২ কোটি), ‘চেন্নাই এক্সপ্রেস’ (২২৭ কোটি), ‘হ্যাপি নিউ ইয়ার’ (২০৫ কোটি), ‘ইয়ে জাওয়ানি হ্যায় দিওয়ানি’ (১৮৮ কোটি), ‘বাজিরাও মাস্তানি’ (১৮৮ কোটি), ‘ফাইটার’ (১২৩ কোটি), ‘গলিও কি রাস লীলা : রাম লীলা’ (১১৮ কোটি), ‘৮৩’ (১০৯ কোটি) ও ‘রেস ২’ (১০০ কোটি)।