ভারত মহাসাগরের ঢেউ আছড়ে পড়ছে সাদা বালুর সৈকতে। তার পাশেই উঁচু খাড়া পাহাড়ে দাঁড়িয়ে আছে সাদা রঙের এক বিশাল উড়োজাহাজ। দেখলে মনে হবে, এই বুঝি যাত্রী নিয়ে অবতরণ করল। কিন্তু কাছে গেলেই সে ভুল ভাঙবে। কারণ, সেখানে নেই কোনো রানওয়ে।পাহাড়ের গায়ে পাতলা পাতলা সাদা সিঁড়ি দিয়ে কিছুটা ওঠার পর আছে উড়োজাহাজে ওঠার সিঁড়ি। সেই সিঁড়ি দিয়ে ওঠার পর দেখা যাবে, আপনি আসলে চলে এসেছেন একটি ভিলায়। যেখান থেকে মহাসাগরের সৌন্দর্য উপভোগের পাশাপাশি হু হু বাতাস উপভোগ করতে পারেন।
গত শনিবার ভারতের শিল্পপতি আনন্দ মাহিন্দ্র এক্স হ্যান্ডলে এমন একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন। সেখানে দেখা যায়, বোয়িং ৭৩৭ উড়োজাহাজকে বিলাসবহুল এক ভিলা বানিয়েছেন এক ব্যক্তি। তাঁর নাম ফেলিক্স ডেনিম। তিনি রুশ উদ্যোক্তা।সমুদ্রপৃষ্ঠের ১৫০ ফুট ওপরে গড়ে তোলা এই ভিলায় রয়েছে লিভিং রুম, একটি সোফা বেড ও গ্লাস পোর্টাল, পাশাপাশি দুটি শয়নকক্ষ। রয়েছে সান লাউঞ্জারস, লাউঞ্জ এলাকা ও একটি ফায়ার পিট। শৌচাগারে বসেও সমুদ্র দর্শন করা যাবে। এমনকি ককপিটকে রূপ দেওয়া হয়েছে এক বিশাল স্নানাগারে। সেখানে স্নানের সময় খুলে দেওয়া যাবে জানালা, যা আপনার শরীর ও মন জুড়িয়ে দেবে। এ ছাড়া ভারত মহাসাগরমুখী বিশাল এক সুইমিং পুলও রয়েছে ভিলাটিতে।
অনন্য এই স্থাপনা ইন্দোনেশিয়ার বালিতে মনোমুগ্ধকর নায়াং নায়াং ক্লিফের ওপর অবস্থিত। ফেলিক্স ২০২১ সালে এই বোয়িং কিনে নেন। এরপর এটিকে এই প্রত্যন্ত এলাকায় নিয়ে আসেন। এরপর ভিলা হিসেবে এটির যাত্রা শুরু হয় গত বছর। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই এটি বিশ্বের নামীদামি বিলাসবহুল ভিলাগুলোর একটি হয়ে ওঠে।এক্স হ্যান্ডল ব্যবহারকারী অনেকেই ভিলাটি দেখে মুগ্ধতা প্রকাশ করেন। কেউ কেউ সেখানে থাকারও ইচ্ছা পোষণ করেন। উল্লেখ্য, ব্যক্তিগতভাবে গড়ে তোলা এই ভিলা ভাড়া দেওয়া হয়।এক ব্যবহারকারী লিখেছেন, এটা অতি ধনীর জীবন। আবার কেউ কেউ লিখেছেন, অসাধারণ ও চমৎকার।আরেকজন লিখেছেন, কল্পনা ও বিলাসিতা মিলে সব সময় অবিস্মরণীয় কিছু স্মৃতি তৈরি করে, তা–ই না?চতুর্থ আরেকজন লিখেছেন, শুধুই আরাম, কোনো কোলাহল নেই।