টেস্ট-ওয়ানডে-টি টোয়েন্টি, সংস্করণ বদলাচ্ছে, কিন্তু শ্রীলঙ্কা-আফগানিস্তান সিরিজের ফল বদলাচ্ছে না। ঘরের মাঠে আফগানদের কোনো আতিথেয়তা না দেখিয়ে একের পর এক হার উপহার দিচ্ছে ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার দল।সিরিজের একমাত্র টেস্টে ১০ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে জয়, তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজেও ধবল ধোলাই। দুই সংস্করণে হারের পর টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ানোর আভাস দিয়েছিল আফগানরা। ডাম্বুলাতে সে ম্যাচে জয় না পেলেও শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে ৪ রানে হেরেছিল আফগানরা। কিন্তু গতকাল দ্বিতীয় ম্যাচে আবার হতশ্রী আফগানরা।
ডাম্বুলাতে কাল সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে সফরকারীদের নিয়ে রীতিমতো ছেলেখেলা করেছে লঙ্কানরা। ১৮৭ রান তাড়ায় ১১৫ রানেই গুটিয়ে গেছে ইব্রাহিম জাদরানের দল। ৭২ রানের বিশাল জয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই টি-টোয়েন্টি সিরিজ নিজেদের করে নিল লঙ্কানরা।এ দিন ব্যাটে-বলে দুর্দান্ত ছিলেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস। ব্যাট হাতে ২২ বলে অপরাজিত ৪৪ রানের পর বোলিংয়ে নেমে ২ ওভারে মাত্র ৯ রানে পেয়েছেন ২ উইকেট।
ডাম্বুলায় টস হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নামা শ্রীলঙ্কাকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন পাথুম নিসাঙ্কা ও কুশল মেন্ডিস। ম্যাচের প্রথম বলেই ফাজালহাক ফারুকিকে চার মেরে শুরু করেন নিসাঙ্কা। পরের ওভারে নাভিন-উল-হাকের বলে হাঁকান টানা তিন বাউন্ডারি। অন্য প্রান্তে কুশল মেন্ডিসও রান তুলেছেন ঝড়ের গতিতে।তবে বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি এ ঝড়। দলকে ৪৫ রানে রেখে চতুর্থ ওভারে আউট হন নিসাঙ্কা (১১ বলে ২৫ রান)। তিন বলের ব্যবধানে বিদায় নেন আরেক ওপেনার মেন্ডিস (১৪ বলে ২৩ রান)। প্রায় একই সময়ে দুই ওপেনারকে হারালেও রানের গতি কমেনি লঙ্কানদের।
এদিন রান পেয়েছেন মিডল অর্ডারের প্রায় সবাই। তবে রান যেমন আসছিল, উইকেটও পড়ছিল সমান তালে। শেষ দিকে সামারাবিক্রামা-ম্যাথুস জুটিতে ৩৪ বলে ৬৬ রান পায় স্বাগতিকরা। সামারাবিক্রামা আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে প্রথমবার ফিফটি (৪০ বলে) তুললেও তিনি কিছুটা মন্থর ব্যাটিং করেছেন।তাড়া করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় আফগানিস্তান। প্রথম ওভারে বিদায় নেন ওপেনার হজরতউল্লাহ জাজাই (১)। তৃতীয় ওভারে আরেক ওপেনার জাদরানকেও (১০) হারায় সফরকারীরা। শুরুর এ ধাক্কা আর সামলাতে পারেনি জাদরানের দল।
টপ অর্ডারের মতো মিডল অর্ডারও ব্যর্থ হয়েছে আফগানদের। মাত্র ৩১ রানেই ৫ উইকেট হারানো আফগানদের হয়ে পরাজয়ের ব্যবধান কমিয়েছেন মোহাম্মদ নবী (১৭ বলে ২৭) ও করিম জানাত (২৩ বলে ২৮) ব্যাটিং। কিন্তু তাতেও বড় ব্যবধানের পরাজয় এড়ানো যায়নি। উইকেট যাওয়া-আসার মিছিলে ম্যাচের ৩ ওভার বাকি থাকতেই গুটিয়ে যায় সফরকারীরা।