সিলেটে থেমে থাকা পুলিশের গাড়িতে বাসের ধাক্কায় ছয় পুলিশ সদস্য আহত হওয়ার ঘটনায় বাসের চালকসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ শনিবার সকালে সিলেট মহানগর পুলিশ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।গ্রেপ্তার তিনজন হলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর থানার পৈরতলা গ্রামের বাসিন্দা বাসচালক বাবুল চন্দ্র দেব (৪৯), বাসটির সুপারভাইজার কুমিল্লার জয়নাল মিয়া (৪০) ও সহকারী কুমিল্লার বুড়িচং থানার রামপুর গ্রামের এরশাদ হোসেন (৪২)।
বিজ্ঞপ্তি সূত্রে জানা যায়, ঘটনার পরপরই বাসটির চালকের সহকারী এরশাদ হোসেনকে আটক করে পুলিশ। এ ঘটনায় ওই দিনই পুলিশের পক্ষ থেকে তিনজনের নাম উল্লেখ করে মামলা হয়। সেই মামলায় এরশাদ হোসেনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। পরে গত বৃহস্পতিবার রাতে বাসচালক বাবুল চন্দ্র দেবকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আর র্যাবের অভিযানে গ্রেপ্তার করা হয় জয়নাল মিয়াকে।
সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (গণমাধ্যম) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে বাসচালক বাবুল চন্দ্র দেব আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তবে জবানবন্দিতে তিনি কী বলেছেন, তা তিনি জানেন না। বাসটির সুপারভাইজার জয়নাল মিয়াকে আজ শনিবার দুপুরে আদালতে পাঠানো হবে।
এদিকে আহত ছয় পুলিশ সদস্যদের মধ্যে একজন ছাড়পত্র পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপপরিচালক সৌমিত্র চক্রবর্তী। তিনি বলেন, আহত ব্যক্তিদের মধ্যে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে থাকা উপকমিশনার আজবাহার আলী শেখকে আজ সকালে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়েছে।
বিশেষ অভিযানের জন্য প্রস্তুতির সময় বৃহস্পতিবার ভোরে সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কের তেমুখী এলাকায় সড়কের পাশে পুলিশের গাড়ি দাঁড় করানো ছিল। এ সময় পুলিশ কর্মকর্তারা গাড়ির পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন। হঠাৎই একটি বাস এসে থেমে থাকা পুলিশের গাড়ির পেছনে ধাক্কা দেয়। এতে গাড়ির পাশে দাঁড়িয়ে থাকা পুলিশের ছয় সদস্য আহত হন। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে পাঁচজনই পুলিশের কর্মকর্তা। আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন সিলেট মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ, অতিরিক্ত উপকমিশনার সাদেক কাউসার দস্তগীর, সিলেট বিমানবন্দর থানার সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) জহুরুল ইসলাম, বিমানবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এস এম নুনু মিয়া, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) রেজাউল করিম ও গাড়িচালক নায়েক হাবিবুর রহমান।