Skip to content

চিপ তৈরিতে ৫ বিলিয়ন ডলারের রিসার্চ হাব চালু করবে যুক্তরাষ্ট্র

    চিপ তৈরিতে ৫ বিলিয়ন ডলারের রিসার্চ হাব চালু করবে যুক্তরাষ্ট্র prothomasha.com

    ইলেকট্রনিক্স পণ্যে ব্যবহৃত চিপ ডিজাইন এবং হার্ডওয়্যার উদ্ভাবন জোরদার করতে ৫ বিলিয়ন ডলারের সেমিকন্ডাক্টর রিসার্চ কনসোর্টিয়াম চালু করার পরিকল্পনা করছে জো বাইডেন সরকার। এর মূল উদ্দেশ্য এই শিল্পে চীনের একক লাভবান হওয়া ঠেকানো। শুক্রবার দেশটির কর্মকর্তারা আনুষ্ঠানিকভাবে ন্যাশনাল সেমিকন্ডাক্টর টেকনোলজি সেন্টার বা এনএসটিসি প্রতিষ্ঠা করার কথা জানান। ২০২২ সালে চিপ অ্যাক্ট পাশের পর এই শিল্পে এটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বিনিয়োগ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।

    ব্লুমবার্গের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, চিপ উৎপাদনে এশিয়ান দেশগুলোর ওপর বিশেষ করে চীনের ওপর নির্ভরতা কমাতেই বিভিন্ন দেশের সরকার অভ্যন্তরীণ পর্যায়ে চিপ উৎপাদনে বড় পরিসরে বিনিয়োগ শুরু করে। এর অংশ হিসেবে ২০২২ সালের আগস্টে যুক্তরাষ্ট্র সরকার ইউএস চিপস অ্যাক্ট আইন পাস করে। মূলত কম্পিউটার চিপ বা সেমিকন্ডাক্টর তৈরি সহজ নয়। অ্যারিজোনায় উন্নত চিপ তৈরির কারখানা নির্মাণের কথা ভাবলেও সমস্যায় পড়েছে তাইওয়ান সেমিকন্ডাক্টর ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি (টিএসএমসি)। কোম্পানির অভিযোগ দক্ষ কর্মী না থাকায় উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে।

    প্রযুক্তিবিদরা মনে করছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপে দ্রুত সময়ে কারখানা নির্মাণ ও চিপ উৎপাদনের যে প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে তাতে দুটি সমস্যা হবে। প্রথমত একই পণ্য তৈরি হবে এবং তা বর্জ্যে রূপান্তরিত হবে। এর আগে মার্কিন চিপ গবেষণা নিয়ে এক প্রতিবেদন প্রকাশ করে বিবিসি। এতে বলা হয়, মহামারির সময় চিপের সরবরাহ চেইনে বড় ধরনের সমস্যা তৈরি হয়। এছাড়া এশিয়ার বিভিন্ন ভূরাজনৈতিক বিষয় নিয়েও শঙ্কা তৈরি হয়েছে। যেখানে বিশ্বের ৯০ শতাংশ উন্নত চিপই এখানে তৈরি হয়ে থাকে।

    বলাবাহুল্য, করোনা সংকট কিছুটা কেটে গেলেও ২০২১ সালেও চিপের প্রবল সংকট তৈরি হয়। সে সময় অল্পসংখ্যক সরবরাহকারীর ওপর বৈশ্বিক নির্ভরতার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। আর মূলত সে সময়েই চিপ তৈরিতে বিশেষ নজর আসে যুক্তরাষ্ট্রের। প্রতিবেদনে বলা হয়, চিপ তৈরিতে শুধুমাত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রই নয়, ইউরোপীয় ইউনিয়নও ৪ হাজার ৩০০ কোটি ইউরোর প্রকল্প গ্রহণ করেছে। যুক্তরাজ্যও চিপ উৎপাদন খাতে ১০০ কোটি পাউন্ড বিনিয়োগের অঙ্গীকার করেছে।

    টেকনোলজির গবেষণা বিশ্লেষক হান্না ডোহমেন জানান, ইউএস চিপস অ্যাক্ট অনুসারে ৫০০-এর বেশি কোম্পানি তাদের প্রকল্পে অর্থায়নের জন্য আবেদন করেছে। এই চিপ নিয়ে ভারত বেশ এগিয়েছে। চীনের সঙ্গেও দেশটির তীব্র প্রতিযোগিতা রয়েছে। যে কারণে যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য সহযোগী দেশ ভারতের সঙ্গে প্রযুক্তিগত সহযোগিতা জোরদারের চেষ্টা চালাচ্ছে।