মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার খালিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ক্লাস নেয়াকে কেন্দ্র করে সহকারী শিক্ষক গৌতম চন্দ্র দাস একই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা ফুলমালা হীরাকে চেয়ার দিয়ে পিটিয়ে আহত করেছেন। গতকাল সোমবার রাজৈর উপজেলার ৪২ নম্বর খালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার তপা বিশ্বাস অভিযুক্ত শিক্ষক গৌতম চন্দ্র দাসকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বরখাস্ত করেছেন। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিনয় কৃষ্ণ বাড়ৈ ও সহকারী শিক্ষিকা লক্ষ্মী রানী বিশ্বাস। জানা গেছে, গতকাল সকাল ১০টায় স্কুলে আসেন সহকারী শিক্ষক গৌতম চন্দ্র দাস। স্কুলে এসেই তিনি বাসায় চলে যান। পরে ১১টার দিকে আবার স্কুলে আসেন। এ সময় শিক্ষিকা ফুলমালা ক্লাস না নিয়ে বাসায় চলে যাওয়ার কথা জিজ্ঞাসা করায় তাদের মধ্যে তর্কবিতর্ক হয়। এক পর্যায়ে গৌতম চন্দ্র দাস চেয়ার দিয়ে পিটিয়ে ফুলমালাকে আহত করেন। পরে ফুলমালা রাজৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা নেন।
অভিযুক্ত শিক্ষক গৌতম চন্দ্র দাস বলেন, ‘ফুলমালা আমাকে আগে আঘাত করেছে। পরে আমি তাকে মারধর করি।’ ভুক্তভোগী শিক্ষিকা ফুলমালা বলেন, ‘আমাকে গৌতম চন্দ্র দাস চেয়ার দিয়ে পিটিয়ে আহত করেছে। আমি এর বিচার চাই।’ প্রধান শিক্ষক বিনয় বাড়ৈ বলেন, ‘বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। ঘটনা ঘটার সঙ্গে সঙ্গে আমি খালিয়া ক্লাস্টারের দায়িত্বরত সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে জানালে তিনি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।’
সহকারী রাজৈর উপজেলা শিক্ষা অফিসার ও খালিয়া ক্লাস্টার তপা বিশ্বাস বলেন, ‘শিক্ষিকা ফুলমালাকে মারধরের ঘটনা শুনে এবং ঘটনার সত্যতা পেয়ে আমি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে জানাই। পরে তার নির্দেশে অভিযুক্ত শিক্ষক গৌতম চন্দ্র দাসকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বরখাস্ত করা হয়। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি।’