Skip to content

৯ বছর পর সেমিতে ৯ জনের আইভরিকোস্ট

    ৯ বছর পর সেমিতে ৯ জনের আইভরিকোস্ট prothomasha.com

    নাটকীয় কোয়ার্টার ফাইনালে মালিকে ২–১ গোলে হারিয়ে আফ্রিকান নেশনস কাপের অন্য সেমিফাইনালে কেপ ভার্দে ও দক্ষিণ আফ্রিকার ম্যাচটি নির্ধারিত সময়ে গোলশূন্য ড্রয়ের পর গড়ায় টাইব্রেকারে, যেখানে ৪টি শট ঠেকিয়ে নায়ক হয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার গোলরক্ষক রনউইন উইলিয়ামস। টাইব্রেকারে ২–১ গোলের এ জয়ে ২০০০ সালের পর আবার শেষ চারে উঠল দক্ষিণ আফ্রিকা। সেবারের মতো এবারও সেমিতে নাইজেরিয়াকে পেয়েছে বাফানারা। ২৪ বছর আগের ম্যাচটিতে অবশ্য ২–০ গোলে হেরেছিল তারা। ফলে সুপার ইগলদের বিপক্ষে এবারের ম্যাচটি দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য প্রতিশোধেরও। স্তাদ বুয়াকেতে প্রথম সেমিফাইনালে স্বাগতিক দর্শকদের হতাশা বাড়িয়ে একপর্যায়ে জয়ের কাছাকাছিই পৌঁছে গিয়েছিল মালি। ৭১ মিনিটে এগিয়ে যাওয়ার পর ৯০ মিনিট পর্যন্ত সেটি ধরে রাখে তারা। ম্যাচে লম্বা সময় পর্যন্ত দাপুটে ফুটবলও খেলেছে মালি। যদিও পেনাল্টি মিস করে ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ হাতছাড়া করেছে তারা।

    এরপর নির্ধারিত সময়ের শেষ মুহূর্তে সিমন আদিংরার গোলে ম্যাচে সমতা ফেরায় আইভরিকোস্ট। ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে, যেখানে ১২৩ মিনিটে ওমার দিয়াকিতের গোলে ২–১ ব্যবধানে জয় নিশ্চিত করে আইভরিকোস্ট, যা তাদের নিয়ে গেছে আফ্রিকা কাপ অব নেশনসের অষ্টম সেমিফাইনালে। সর্বশেষ সেমিফাইনাল খেলেছিল তারা ৯ বছর আগে।

    শেষ মুহূর্তে যাঁর গোলে তিন আসর পর আইভরিকোস্ট এ প্রতিযোগিতার সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে, সেই দিয়াকিতে ম্যাচ শেষে আবেগে আত্মহারা হয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘এই ধরনের ম্যাচে ব্যাখ্যা করার মতো তেমন কিছু থাকে না। এটা পুরোপুরিই আবেগের ব্যাপার। আনন্দ এতটাই বেশি ছিল যে আমি ভুলেই গিয়েছিলাম, আগেই একটা হলুদ কার্ড দেখেছিলাম। এটা আমার দিক থেকে ভুল ছিল। সেমিফাইনালে আমি না থাকলেও আমরা নিজেদের কাজটা করতে পারব।’ অন্য দিকে ১৯৯৬ সালের চ্যাম্পিয়ন দক্ষিণ আফ্রিকা নিজেদের দ্বিতীয় শিরোপা থেকে এখন মাত্র দুই ম্যাচ দূরে। দলটির সেমিতে যাওয়ার নায়ক উইলিয়ামসের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছেন কোচ হুগো ব্রোস, ‘আমি বলব না যে আমরা সৌভাগ্যবান ছিলাম। আসলে আমাদের আজ দারুণ একজন গোলরক্ষক ছিল। যদি আপনি চারটি পেনাল্টি বাঁচান, তবে সেটি আর সৌভাগ্য থাকে না।’

    সেমিফাইনালে উঠেছে আইভরিকোস্ট। ম্যাচের ৪৩ মিনিটে ওদিলোন কোসোনো লাল কার্ড দেখলে ১০ জনের দল হয়ে যায় স্বাগতিক আইভরিকোস্ট। এ কারণে ম্যাচের বেশির ভাগ সময় ১০ জন নিয়ে খেলতে হয়েছে দলটিকে। এমনকি শেষ মুহূর্তে আরও একজন লাল কার্ড দেখলে সেই সংখ্যা নেমে আসে ৯–এ। যদিও কোনো কিছুই শেষ পর্যন্ত আইভরিকোস্টের সেমিতে যাওয়া ঠেকাতে পারেনি। ঘুরে দাঁড়িয়ে নির্ধারিত সময়ের পর লড়াই করেছে অতিরিক্ত সময়েও। শেষ পর্যন্ত জয় নিয়েই মাঠ ছেড়েছে আইভরিকোস্ট। সেমিফাইনালে আইভরিকোস্ট মুখোমুখি হবে কঙ্গো প্রজাতন্ত্রের।

    সেমিফাইনালের লাইনআপ

    নাইজেরিয়া বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা

    ৭ ফেব্রুয়ারি, বুধবার, রাত ১১টা

    আইভরিকোস্ট বনাম কঙ্গো প্রজাতন্ত্র

    ৭ ফেব্রুয়ারি, বুধবার, রাত ২টা