Skip to content

বেড়েছে ডিমের দাম

    বেড়েছে ডিমের দাম prothomasha.com

    রাজধানীর বাজারে গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে ডিমের দাম ডজনে ১০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। তবে কমেছে মুরগির দাম। ব্রয়লার ও সোনালি উভয় মুরগির দাম কেজিতে ১০ টাকা কমেছে। সপ্তাহের মাঝামাঝি পেঁয়াজের দাম একটু বাড়লেও সপ্তাহের শেষ দিকে এসে তা কিছুটা কমেছে। চাল, ডাল ও সবজির মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য উচ্চ মূল্যে স্থিতিশীল হয়ে আছে।

    গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর মগবাজার, মালিবাগ বাজার ও শাহজাহানপুর বাজার ঘুরে ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বাজারে প্রতি ডজন বাদামি রঙের ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ থেকে ১৪৫ টাকায়। সাদা রঙের ডিমের দাম ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকা ডজন। গত সপ্তাহের তুলনায় বাদামি ডিমের দাম ডজনে ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়েছে। সাদা রঙের ডিমের দাম বেড়েছে ডজনে ৫ টাকা। মালিবাগ বাজারের ডিম বিক্রেতা তানভীর হাসান  বলেন, চাহিদার তুলনায় বাজারে ডিম কম আসছে। ফলে ডিমের দাম বেড়েছে।

    ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) গতকালের বাজারদরের প্রতিবেদন বলছে, ডজনে না কিনে হালিতে কিনলে ডিমের দাম আরেকটু বেশি দিতে হচ্ছে। ফার্মের মুরগির ডিমের দাম পড়ছে প্রতি হালি ৪৫ থেকে ৫০ টাকা। গত সপ্তাহে যা ছিল ৪৩ থেকে ৪৫ টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে খুচরায় হালিতে ২ থেকে ৫ টাকা বা ৮ শতাংশের মতো বেড়েছে।

    বাংলাদেশ এগ প্রোডিউসার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি তাহের আহমেদ সিদ্দিকী বলেন, শীতে নানা কারণে ডিমের উৎপাদন নেমে আসে। যার কারণে বাজারে প্রভাব পড়ে। তবে এই অবস্থা বেশি দিন থাকবে না বলে মনে করেন তিনি। বাজারে ডিমের দাম বাড়লেও কমেছে মুরগির দাম। ব্রয়লার মুরগির দাম পড়ছে ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা কেজি। গত সপ্তাহে যা ছিল ১৯০ থেকে ২০০। আর গত সপ্তাহে ৩১০ থেকে ৩২০ টাকা কেজির সোনালি মুরগির দাম এই সপ্তাহে নেমে এসেছে ৩০০ থেকে ৩১০ টাকায়।

    এদিকে গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে গরুর মাংসের দাম চাওয়া হয়েছে ৭০০ থেকে ৭২০ টাকা কেজি। খাসির মাংস ১ হাজার থেকে ১ হাজার ১০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে। প্রায় অপরিবর্তিত আছে মাছের দাম। মাঝারি আকারের চাষের রুই প্রতি কেজি ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকা এবং আকারভেদে তেলাপিয়া ও পাঙাশ ২২০ থেকে ২৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

    গত সপ্তাহের মাঝামাঝি সময়ে এসে খুচরা বাজারে দেশি পেঁয়াজের দাম উঠেছিল ১০০ টাকায়। সেটা এখন ৯০ টাকার ঘরে চলে এসেছে। তবে বাজারে এখনো সবজির দাম বেশি। রাজধানীর শাহজাহানপুর বাজারে ক্রেতা মাহমুদ আলী বলেন, অন্যান্য বছর শীতের সবজি দরদাম করে কেনা লাগত না। এবার তা করতে হচ্ছে।