Skip to content

৪০ হাজারের বেশি কোটা খালি রেখে শেষ হলো হজ নিবন্ধন 

    ৪০ হাজারের বেশি কোটা খালি রেখে শেষ হলো হজ নিবন্ধন prothomasha.com

    পাঁচ দফা সময় বাড়ানোর পরও ৪০ হাজারের বেশি কোটা খালি রেখে শেষ হয়েছে এবারের হজের নিবন্ধন কার্যক্রম। কোটা পূরণ না হওয়ার জন্য অতিরিক্ত খরচকে দায়ী করছেন হজযাত্রীরা। বাকি কোটা সৌদি আরবকে ফেরত দেয়া হবে বলে জানিয়েছে ধর্মমন্ত্রণালয়। এজেন্সিগুলো বলছে, এর আগে এত সংখ্যক কোটা কখনও খালি থাকেনি।

    প্রতিটি সক্ষম মুসলমানের জন্য হজ পালন ফরজ। কিন্তু হজের আকাশ ছোঁয়া ব্যয় চলে গেছে সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে। অনেকেই ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও হজপালন করতে পারছেন না। অধরা থেকে যাচ্ছে হজপালনের স্বপ্ন।। ২০২৩ সালে সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ প্যাকেজ ৬ লাখ ৮৩ হাজার এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৬ লাখ ৭২ হাজার টাকা নির্ধারণ হয়। অথচ গতবারের তুলনায় এবার প্যাকেজের দাম ৯২ হাজার ৪৫০ টাকা কমানো হয়েছে। এরপরও হজযাত্রীদের হিমশিম খেতে হচ্ছে খরচ মেটাতে।

    একজন হজযাত্রী বলেন, ‘আমার মা বৃদ্ধা হয়ে গিয়েছেন। তার ইচ্ছা যে আমি যেহতু মাহরাম পুরুষ, তাকে নিয়ে হজে যাবো। কিন্তু খরচ এত বেশি যে বারবার ভাবিয়ে তুলছে। এতো টাকা আসলে অনেক কষ্ট হয়ে যায়। যদি সীমিতের মধ্যে হত তাহলে আমাদের জন্য খুব উপকার হতো।’  তথ্য বলছে, এখনো প্রাক–নিবন্ধন করা আছে প্রায় ১ লাখ মানুষের। এজেন্সিগুলো বলছে, বারবার তাদের ফোন করার পরও শুধু খরচের কারণে সাড়া মিলছে না।

    একটি হজ এজেন্সির কর্মকর্তা বলেন, ‘গত বছর আমার ২৩৫ জন হাজী ছিল। এ বছর সে তুলনায় হাজী অনেক কম। আমাদের এখন পর্যন্ত ৯৪ জন কনফার্ম হয়েছে। অনেক হজ এজেন্সি আছে যারা তাদের লাইসেন্সগুলো বিক্রির চেষ্টা করছে। কারণ লাইসেন্স পেলেই তো হবে না। প্রতিবছর এগুলো রিনিউ করতে হয়, অনেক টাকা খরচ হয়।’  হজ এজেন্সিগুলোর সংগঠন হাব বলছে, ডলারের মূল্য বেড়ে যাওয়ায় সৌদি আরব অংশে খরচ বেড়েছে। তবে বিমান ভাড়া কমালে এত সংখ্যক কোটা খালি থাকতো না।

    হাব সভাপতি শাহাদাত হোসাইন তসলিম বলেন, ‘২০২২ সালে তো সামান্য সংখ্যক গিয়েছে। ২০২৩ সালে আমরা ২ হাজার ৩০০ কোটা আমরা পূর্ণ করতে পারিনি। কিন্তু ২০২৪ এ এসে এখনও পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে ৪০ হাজারের উপরে কোটা খালি থাকবে। এতো বেশি সংখ্যক কোটা আগে কখনই খালি থাকে নি।’   এদিকে ধর্ম মন্ত্রণালয় সাফ জানিয়ে দিয়েছে, নিবন্ধনের সময় আর বাড়ছে না। অবশিষ্ট কোটা ফেরত দেওয়া হবে সৌদি আরবকে।

    মন্ত্রণালয়ের হজ অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো: মতিউল ইসলাম বলেন, ‘ওই কোটা আমরা ফেরত দিয়ে দেবো। আগেও এমন হয়েছে, আমাদের কোটার কোনো সমস্যা নাই। কত হাজযাত্রী গেলো এটার ভিত্তিতে কোটা দেয় না। কোটা দেয় মুসলিম জনসংখ্যার ভিত্তিতে।’  হজ ফ্লাইট শুরু হওয়ার কথা রয়েছে ৯ মে থেকে। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে হজ হবে ১৬ জুন।