রাজধানীর জিগাতলায় সাতমসজিদ সড়কের পাশের কেয়ারি ক্রিসেন্ট প্লাজাটি ১৫ তলা। ওই ভবনে ১১টি রেস্তোরাঁ খুলে ব্যবসা করা হচ্ছিল। ভবনের দুটো সিঁড়ির একটি বন্ধ, সেখানে রাখা হয়েছে গ্যাস সিলিন্ডার। আর ভবনের ছাদে তালা লাগানো। ভবনে আগুন লাগলে কারও পক্ষে ছাদে যাওয়া সম্ভব নয়।ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাহাঙ্গীর আলম আজ সোমবার বিকেলে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ভবনটিতে এই অবস্থা দেখতে পেয়েছেন। পরে অগ্নিনিরাপত্তা ঝুঁকির কারণে ভবনটি সিলগালা করে দিয়েছেন তিনি।
গত বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর বেইলি রোডে গ্রিন কোজি কটেজ নামের একটি সাততলা ভবনে আগুন লাগে। ওই ভবনের প্রতিটি তলায় রেস্তোরাঁ ছিল। সেখানে আগুনের ঘটনায় ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর আহত অবস্থায় এখনো চিকিৎসাধীন আছেন পাঁচজন। এ ঘটনার পর ঢাকার বিভিন্ন বাণিজ্যিক ভবনে ইচ্ছেমতো রেস্তোরাঁ তৈরি নিয়ে উদ্বেগ জানান বিশেষজ্ঞরা। বিভিন্ন মহল থেকে এসব ভবনে অভিযান চালিয়ে অগ্নিনিরাপত্তার বিষয়টি খতিয়ে দেখার দাবি জানানো হয়।এই পরিস্থিতি গতকাল রোববার রাজধানী গুলশান, মিরপুর ও উত্তরার প্রায় অর্ধশত রেস্তোরাঁয় অভিযান চালিয়ে ২২ জনকে আটক করে পুলিশ। তারপর আজ ধানমন্ডি, ওয়ারীসহ বিভিন্ন এলাকায় রেস্তোরাঁ ভবনে একযোগে অভিযান চালাচ্ছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ও পুলিশ।
অভিযানে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরাও ছিলেন। ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক তানহার ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘এখানে ফায়ার সেফটি প্ল্যান ছিল না। তাই ব্যানার টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে।’এর আগে কিছুটা দূরে সাতমসজিদ সড়কের গাউসিয়া টুইন পিক ভবনে অভিযান চালায় রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। সেখানে একটি রুফটপ রেস্তোরাঁ ভেঙে ফেলা হয় এবং ওই ভবনের ১২টি রেস্তোরাঁ সিলগালা করে দেওয়া হয়।