Skip to content

১০ হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি আত্মসাতের অভিযোগে ট্রান্সকম গ্রুপের সিইওর বিরুদ্ধে বোনের মামলা

    ১০ হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি আত্মসাতের অভিযোগে ট্রান্সকম গ্রুপের সিইওর বিরুদ্ধে বোনের মামলা prothomasha.com

    কোম্পানির সম্পত্তি ও শেয়ার-সংক্রান্ত বিরোধের জেরে ট্রান্সকম গ্রুপের প্রয়াত চেয়ারম্যানের মেয়ে শাযরেহ হক তার বড় বোন, ট্রান্সকম গ্রুপের বর্তমান সিইও সিমিন রহমান এবং গ্রুপের বর্তমান চেয়ারম্যান তাদের মা শাহনাজ রহমানের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।সিমিন রহমান বিশ্বাসভঙ্গ, জালিয়াতি ও দলিল জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে শাযরেহ ও তার প্রয়াত ভাই আরশাদ ওয়ালিউর রহমানকে পারিবারিক সম্পত্তির—যার মূল্য দাবি করা হয়েছে ১০ হাজার কোটি টাকা—ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছেন বলে অভিযোগ এনে মামলাটি করেন শাযরেহ।

    শাযরেহের দায়ের করা তিনটি মামলায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ২২ ফেব্রুয়ারি ট্রান্সকম গ্রুপের পাঁচ কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করেছে। পিবিআইয়ের বিশেষ সুপার জাহাঙ্গীর আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।গত ২২ ফেব্রুয়ারি বিভিন্ন সময় বাসা ও অফিস থেকে এই পাঁচ কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন ট্রান্সকম গ্রুপের করপোরেট অ্যাফেয়ার্স-আইন-এর নির্বাহী পরিচালক মো. ফখরুজ্জামান ভূঁইয়া, পরিচালক (করপোরেট ফাইন্যান্স) কামরুল হাসান, পরিচালক (করপোরেট ফাইন্যান্স) আবদুল্লাহ আল মামুন, সহকারী কোম্পানি সচিব মোহাম্মদ মোসাদ্দেক এবং ব্যবস্থাপক (কোম্পানি সেক্রেটারি) আবু ইউসূফ মো. সিদ্দিক।

    জানা গেছে, তিনটি মামলায় উল্লেখিত পাঁচজনসহ আটজনকে আসামি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে আছেন শাযরেহ হকের বড় বোন এবং ট্রান্সকম গ্রুপের সিইও সিমিন রহমান, তার মা এবং ট্রান্সকম গ্রুপের বর্তমান চেয়ারম্যান শাহনাজ রহমান এবং সিমিন রহমানের ছেলে ও ট্রান্সকমের হেড অব ট্রান্সফরমেশন যারেফ আয়াত হোসেন।মামলার নথিতে বলা হয়েছে, সিমিন ও তার সহযোগীরা জাল দলিল ব্যবহার করে তার বাবা লতিফুর রহমানের প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা মূল্যের সম্পদ অবৈধভাবে আত্মসাতের চেষ্টা করেছেন।

    নথিতে আরও বলা হয়, ট্রান্সকম গ্রুপের প্রয়াত চেয়ারম্যান লতিফুর রহমান মৃত্যুর সময় একাধিক ব্যাংকে এফডিআরে ১০০ কোটি টাকা রেখে গিয়েছিলেন। বাদী তার মা ও বোন সিমিনের বিরুদ্ধে অসমভাবে এফডিআর বণ্টনের অভিযোগ করেছেন। বাকিদের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতে সহায়তা করার অভিযোগ করা হয়েছে।

    মামলার নথিতে আরও বলা হয়েছে, বাদীকে জানানো হয়েছিল তার পিতা তাকে ৪ হাজার ২৭০টি শেয়ার, তার ভাই আরশাদ ওয়ালিউর রহমানকে ৪ হাজার ২৭০টি শেয়ার এবং তার বোনকে ১৪ হাজার ১৬০টি শেয়ার হস্তান্তর করেছেন। কিন্তু বাদী কখনওই হস্তান্তর দলিলে স্বাক্ষর করেননি বলে দাবি করেছেন। তার বাবাও জীবিতাবস্থায় কখনও হস্তান্তর দলিলে স্বাক্ষর করেননি বলে দাবি করেন বাদী।বাদী শাযরেহ হক অভিযোগ করেন, আসামিরা এসব নথি জাল করেছেন।