ধুম-ধারাক্কার টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটও যে অল্প রানে জমে উঠতে পারে সেটিই দেখা গেল গতকাল রবিবার অনুষ্ঠিত নিউজিল্যান্ড-শ্রীলংকা ম্যাচে। প্রথমে ব্যাট করে মাত্র ১০৮ রান করেও স্বাগতিক শ্রীলংকাকে ৫ রানে হারিয়ে দিয়েছে সফরকারী কিউইরা।ফলে দুই ম্যাচের সিরিজও শেষ হলো ১-১ সমতায়।
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এই প্রথম ১২০ রানেরও কম পুঁজি নিয়ে জিতল নিউজিল্যান্ড। অন্যদিকে, বিপক্ষ দলকে ১১৫ রানেরও নিচে আটকে রেখে টি-টোয়েন্টিতে এর আগে কখনো হারেনি শ্রীলংকা। সবমিলিয়ে এক রেকর্ডময় ম্যাচই দেখা গেল।
১০৯ রানের লক্ষ্যে খেলতে গিয়ে এক পর্যায়ে শেষ ওভারে ৩ উইকেট হাতে রেখে মাত্র ৮ রান দরকার ছিল শ্রীলংকার। নিউজিল্যান্ডের ‘মূলত ব্যাটার’ গ্লেন ফিলিপসের হাতে বল তুলে দেন অধিনায়ক মিচেল স্যন্টনার। প্রথম বলে ১ রান নিয়ে সমীকরণটা ৫ বলে ৭ রানে নিয়ে আসেন মহেশ থিকসানা। স্ট্রাইকে আসেন ৫২ রানে অপরাজিত থাকা ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কা।
ফিলিপসের দ্বিতীয় বলে বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে হেনরি নিকোলসের হাতে ধরা পড়েন তিনি। পরের বলেই স্টাম্পড হয়ে গেলেন নতুন ব্যাটার মাথিশা পাথিরানা। হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগালেও চতুর্থ বলে আউট করা যায়নি নুয়ান তুষারাকে। ১ রান নেন তিনি। পরের বলেই ক্যাচ উঠিয়ে দেন ঠিকসানা। রুদ্ধশ্বাস জয় পায় নিউজিল্যান্ড।
লংকানদের হয়ে নিশাঙ্কার ৫২ রানের পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৫ রান এসেছে ভানুকা রাজাপাকসের ব্যাটে। কিউইদের হয়ে দুর্দান্ত বল করেছেন ফিলিপস ফার্গুসন। ১ ওভার ৫ বলে ৬ রানের বিনিময়ে ফিলিপসের শিকার ৩ উইকেট। আর ২ ওভারে ৭ রান দিয়ে ৩ উইকেট গতিময় বোলার ফার্গুসনের। এদিন ৬টি ডিসমিসাল করেছেন কিউই উইকেটকিপার মিচেল হেই। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এক ম্যাচে এর আগে ৫টির বেশি ডিসমিসাল ছিল না কারও। মাত্রই দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি খেলতে নামা হেই ৫টি ক্যাচ নেওয়ার পাশাপাশি করেছেন একটি স্টাম্পিং।
এর আগে, ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার তোপে ১০৮ রানেই গুটিয়ে যায় নিউজিল্যান্ড। দলটির হয়ে সর্বোচ্চ ৩০ রান করেন ওপেনার উইল ইয়ং। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৪ রান জশ ক্লার্কসনের। শ্রীলঙ্কান স্পিনার ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা ১৭ রানে ৪টি ও পেসার পাতিরানা ১১ রানে নেন ৩ উইকেট।