Skip to content

হোয়াইট হাউসে ফেরার উদ্যোগ থামাতে এই বিচার ‘ধূর্ত’ প্রচেষ্টা: ট্রাম্প

    হোয়াইট হাউসে ফেরার উদ্যোগ থামাতে এই বিচার ‘ধূর্ত’ প্রচেষ্টা: ট্রাম্প prothomasha.com

    ফৌজদারি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়াকে একটি ‘ধূর্ত’ প্রচেষ্টা হিসেবে মন্তব্য করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেন, হোয়াইট হাউসে আমার ফিরে আসার উদ্যোগকে থামিয়ে দিতে এই বিচার একটি ‘ধূর্ত’ প্রচেষ্টা। শুক্রবার ম্যানহ্যাটনের ট্রাম্প টাওয়ারের লবিতে দাঁড়িয়ে সমর্থকদের উদ্দেশে তিনি এ কথা বলেন। তাকে দোষী সাব্যস্ত করে যে রায় দেওয়া হয়েছে তার বিরুদ্ধে আপিল করার ঘোষণা দিয়ে তিনি বলেন, এই কেলেঙ্কারির বিরুদ্ধে আমরা আপিল করতে যাচ্ছি। খবর- রয়টার্স ৩৩ মিনিটের ভাষণে এই রিপাবলিকান নেতা বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের কোনো নাগরিকই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত আইনি প্রক্রিয়া থেকে নিরাপদ নয়। এই বিচার সেই চিত্রই তুলে ধরেছে। ১১ জুলাই এ মামলার সাজা ঘোষণা করা হবে। এরপর রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার জন্য ৩০ দিন সময় পাবেন ট্রাম্প।

    যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম সাবেক প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প ফৌজদারি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হন। নিউইয়র্কের এক আদালত বৃহস্পতিবার সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মামলায় সিদ্ধান্ত জানিয়েছে। ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আনা ৩৪টি অভিযোগে তিনি দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। ব্যবসার নথিপত্র গোপন করে স্টর্মি ড্যানিয়েলস নামের এক পর্ন তারকার মুখ বন্ধ করতে ট্রাম্প অন্যায় করেছেন বলে জুরির সব সদস্য একযোগে তাকে দোষী হিসেবে গণ্য করেছেন। ২০১৬ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ঠিক আগে ট্রাম্প এমন কুকীর্তি করেছিলেন বলে আদালতে অভিযোগ করা হয়েছিল। এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো সাবেক প্রেসিডেন্ট ফৌজদারি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হননি। 

    ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আরও কয়েকটি মামলা চলছে। তবে নির্বাচনের আগে সে সব মামলায় চূড়ান্ত রায়ের আশা করা হচ্ছে না।  এমন ‘ঐতিহাসিক’ ঘটনার ফলে যুক্তরাষ্ট্রে নানা রকম প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। বৃহস্পতিবার আদালতের সিদ্ধান্ত এবং আগামী ৫ই নভেম্বর প্রেসিডেন্ট নির্বাচন পর্যন্ত অন্যান্য মামলায় অগ্রগতির পরিপ্রেক্ষিতে প্রশ্ন উঠছে, ট্রাম্প আদৌ নির্বাচনে প্রার্থী থাকতে পারবেন কিনা। সেই বাধা না থাকলেও কারাদণ্ডের ক্ষেত্রে কোনো প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনে জিতে প্রেসিডেন্ট হিসেবে কার্যভার গ্রহণ করা সম্ভব কিনা, সেই বিষয়টিও আইনি বিশেষজ্ঞদের ভাবাচ্ছে।