পাকিস্তান সফরে রীতিমতো উড়ছে বাংলাদেশ। দুই ম্যাচের সিরিজের প্রথমটিতেই তুলে নিয়েছিল ১০ উইকেটের জয়। দ্বিতীয় টেস্টেও জয় বাংলাদেশের নাগালেই আছে। দ্বিতীয় এই ম্যাচে জয়ের জন্য চতুর্থ ইনিংসে বাংলাদেশকে করতে হবে ১৮৫ রান। এই ম্যাচ জিতলে নিশ্চিত হবে সিরিজও। ড্র করলেও সিরিজ নিশ্চিত হবে, তবে বড় কোনো দুর্যোগ না ঘটলে সেই সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।
রাওয়ালপিন্ডিতে ম্যাচের প্রথম ইনিংসে ২৭৪ রানে অলআউট হয় পাকিস্তান। জবাব দিতে নেমে ২৬২ রানে থামে বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসে ১২ রানের লিড পায় সফরকারীরা। অন্যদিকে, নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে স্বাগতিক পাকিস্তান অলআউট হয় ১৭২ রানে। ফলে পাকিস্তানের লিড দাঁড়ায় ১৮৪ রানে।
তৃতীয় দিনের ২ উইকেটে ৯ রান নিয়ে চতুর্থ দিনে ব্যাট করতে নামে পাকিস্তান। দিনের শুরুতেই সাইম আইয়ুবকে ফিরিয়েছেন তাসকিন আহমেদ। পাকিস্তানি ওপেনারকে ২০ রানে নাজমুল হোসেন শান্তর ক্যাচে ফেরান বাংলাদেশ পেসার। এরপর পাকিস্তান অধিনায়ক শান মাসুদেকে ২৮ রানে উইকেটরক্ষক লিটন দাসের ক্যাচে বিদায় করেন আরেক পেসার নাহিদ রানা। পরে বাবর আজমকে ১১ রানে সাদমানের ক্যাচে আউট করার পর সৌদ শাকিলকেও ফেরান তিনি।
৮১ রানের মধ্যে ৬ উইকেট হারানো পাকিস্তানকে এরপর টেনে তোলার চেষ্টা করেন মোহাম্মদ রিজওয়ান ও আগা সালমান। সপ্তম উইকেটে ৫৫ রানের জুটি গড়ে ফেলেন তারা। ১৩৬ রানের মাথায় রিজওয়ান ফিরলে ভাঙে এই জুটি। হাসান মাহমুদের বলে লিটন দাসকে ক্যাচ দিয়ে ফেরার আগে ৭৩ বলে ৪৩ রান করেন রিজওয়ান।
এরপর সালমান ছাড়া আর কোনো পাকিস্তানি বিশেষজ্ঞ ব্যাটার ছিলেন না। রিজওয়ানকে শিকার করেই ক্ষান্ত হননি হাসান, মুখোমুখি হওয়া প্রথম বলেই মোহাম্মদ আলিকে ফেরান তিনি। পরের দুই ব্যাটার আবরার আহমেদ ও মির হামজাও সালমানকে উপযুক্ত সঙ্গ দিতে পারেননি। তাতে ১৭২ রানেই অলআউট হয় পাকিস্তান। সালমান অপরাজিত থাকেন ৪৭ রানে।
গতকাল শেষ বিকেলে ২ উইকেট নেওয়া পেসার হাসান আজ নেন আরও ৩ উইকেট। টেস্টে এই প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট নেওয়ার কৃতিত্ব দেখালেন তিনি। আজ বল হাতে সবচেয়ে বেশি দাপট দেখিয়েছেন গতিময় পেসার নাহিদ রানা। তরুণ এই পেসার তুলে নিয়েছেন পাকিস্তানের চারটি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট। ক্যারিয়ারে এটিই তার সেরা বোলিং। বাকি উইকেটটি তাসকিন আহমেদের। টেস্টে এই প্রথম প্রতিপক্ষের ১০ উইকেটের সবগুলো নিলেন বাংলাদেশের পেসাররা।