বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে গুলশানের বাসা ফিরোজায় রেখেই নিবিড় পর্যবেক্ষনে চিকিৎসা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মেডিকেল বোর্ড। বুধবার (২৭ মার্চ) রাত সাড়ে ১১টায় তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন গুলশানের বাসার সামনে সাংবাদিকদের একথা জানান। তিনি বলেন, এই মুহুর্তে ম্যাডামের অবস্থা স্থিতিশীল। মেডিকেল বোর্ড আপাতত উনাকে বাসায় রেখে সার্বক্ষনিক নিবিড় পর্যবেক্ষনে রেখে চিকিৎসা দিচ্ছেন। দুপুরের দিকে ম্যাডাম অসুস্থ বোধ করছিলেন। এখন অনেকটাই সুস্থ বোধ করছেন।
অধ্যাপক জাহিদ বলেন, দুপুরের পর থেকে উনি অসুস্থতা বোধ করছিলেন। সেই কারণে ইফতারের পরে ম্যাডামের মেডিকেল বোর্ড অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদার, অধ্যাপক এ এফ এম সিদ্দিকী, অধ্যাপক নুরুউদ্দিন আহমেদ, অধ্যাপক এ কিউ এম মহসিন, অধ্যাপক শাসমুল আরেফিন, অধ্যাপক জাফর ইকবালসহ চিকিসকরা এবং ওভার টেলিফোনে লন্ডন থেকে আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সহধর্মিনী ডা, জোবায়দা রহমান উনারা প্রায় বেশ কয়েকবার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন। ইতোমধ্যে কয়েকটি পরীক্ষা করানো হয়েছে। সার্বিক দিক বিবেচনায় ওনারা মনে করেছেন যে, মেডামকে সার্বক্ষনিক পর্যবেক্ষনে রাখা প্রয়োজন। সেজন্য আপাতত বাসাতে মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে থাকবেন। তিনি বলেন, যদি কোনো কারণে প্রয়োজন হয় তাহলে যেকোনো সময়ে হসপিটালে স্থানান্তর করতে হতে পারে।
এর আগে, বিকালে খালেদা জিয়ার অবস্থার অবণতি হয়েছে জানিয়ে তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়ার জন্য পুলিশ প্রশাসনকে দ্রুত চিঠি পাঠায়। সকল প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে হাসপাতালে নেওয়ার। কিন্তু অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে মেডিকেল বোর্ডের সদস্য গুলশানের বাসায় কয়েক ঘণ্টা অবস্থান করে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা পর্যালোচনা করে হাসপাতালে নেওয়ার পরিকল্পনা বদলান। এদিকে বিএনপির চেয়ারপারসনের অবস্থা খারাপ জেনে দ্রুত দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ফিরোজায় ছুটে আসেন এবং চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলেন। সর্বশেষ গত ১৩ মার্চ স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে যান এবং মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্তে ভর্তি হয়ে একদিন পর বাসায় ফেরেন।